শ্রদ্ধেয় কবি দেলোয়ার হোসেন বরিশাল মহোদয়ের "অপ্সরা" কবিতাটি আজ আলোচনায় উপস্থাপন করছি। জনাব দেলোয়ার হোসেন বরিশাল ২ বছর ১১ মাস হলো বাংলা-কবিতায় আছেন। তিনি আজ পর্যন্ত সর্বমোট ২৬২ টি কবিতা বাংলা-কবিতার খাতায় জমা দিয়েছেন।
আমি উনার বেশ কয়েকটি কবিতা পাঠ করেে যতটা হৃদয়ঙ্গম করতে পেরেছি তাতে আমার মনে হয়েছে কবি একাকিত্ব বেশ উপভোগ করেন। সজ্ঞানেই লিখলামনা কবি একাকিত্বের যন্ত্রনা ভোগ করেন। কবি ঐ লনলিনেস এর মধ্যেই খুঁজে পেয়েছেন জীবনে বেঁচে থাকার রসদ। চলুন কবি "অপ্সরা" কবিতায় কি লিখেছেন একটু দেখি-
"তুমি বলো প্রিয়ে,
তোমার আমি কি করে বাইরে থাকি!
নদী যেমন সমুদ্রে, হুইস্কি যেমন বোতলে মিলে থাকে,
তেমন আমি কেমনে তোমার বাইরে থাকি!"
আজকের আলোচ্য "অপ্সরা" কবিতাটি যেন উনার ঠিক আগের লেখা বেশ কয়েকটি কবিতা "অনামিকা" "তুমি আমি কাছাকাছি" "প্রেমি কবি" "কিম্ভূতকিমাকার" এবং "স্রোতসিনী" সবগুলি মিলে যেন প্রেম বিরহের একগুচ্ছ তাজা বাগদাদী গোলাব। একসংগে একের পর এক পাঠ করলে বলতেই হবে "মারহাবা" "মারহাবা"। কবির এই "অপ্সরা" কবিতাটির রচনা কাল ১০/১১/২০২১ ইং। প্রায় তিন বছর কিন্তু কবির বিরহ যাত্রা যেন অনন্ত কাল চলবে, উনার সদ্য প্রকাশিত কবিতার শিরোনাম "দীর্ঘশ্বাসের গল্প" হলে এমনটাই মনে হওয়া যুক্তি সংগতও বটে।
"প্রতিটি নিঃশ্বাসে আমি খুঁজে পাই তোমার সুগন্ধ,
প্রতিটি অনুভূতিতে মাখোমাখো তোমার চুম্বন!
প্রতিটি ব্যথা, কান্নার প্রতিবিন্দুতে পেয়ে যাই!
তাহলে কি করে তোমায় আমি ভুলে থাকি!
বলো না, এ পৃথিবী যখন তুমিময়।"
আপনি কখনো প্রেমে পড়েছেন? প্রেমে না পরে থাকলে শত চেষ্টাতেও এই পংক্তি গুলির পাঠোদ্ধার করা সম্ভবই নয়। আর স্বভাব প্রেমিকদের কাছে এতো জল ভাত।
থাক, আবোলতাবোল কত কিছুই না এক নাগারে বলে গেলাম। তেমন রসিক হলে বুঝবেন আমিও এমন কেন করি। আমার আলোচনাটি এতদূর পর্যন্ত পড়ার জন্য আপনার হাজার হাজার ধন্যবাদ প্রাপ্য হয়ে গেছে। অকুণ্ঠ কৃতজ্ঞতা জানবেন। এবার দয়া করে আপনি সম্মানিত কবির পাতায় গিয়ে কবিতাটি শুরু থেকে শেষ অব্দি পড়ে, পুরো রস আস্বাদন করে, কবির প্রাপ্য দক্ষিণা আপনার মূল্যবান মন্তব্য সাক্ষর করুন।
আমাকেও কবিতাটির পথ নির্দেশ করার জন্য একটি মোহর, আই মীন একটি ধন্যবাদ দিতে চাইলে আমি মানা করব না। নেকী অৌর পুছপুছ। সালাম, দোয়া, সব্বাখৈর, আদাব, এবং অশেষ ধন্যবাদ ও শুভেচ্ছা রইল।
কৈ গো.....