---------তোকে আর তুমি বলা হলো না--------
(মুখশ্রীত সত্য ঘটনার প্রেক্ষাপটে লেখা)
*****************************
তোকে না তুমি বলতে ইচ্ছে করে নি কখনো ,
ভালোবাসার আগুন তুই টাকে পুড়িয়ে -
তুমি রূপটা দিতেই পারলো না ।
স্মৃতির ক্যানভাসে বর্তমান বড্ড বেমানান,
প্রাইমারি থেকে কলেজের শেষ গণ্ডি অব্দি -
তুই টাকে একেবারে হাতে করে গড়েছি যে।
কাম দেবতার সাথে সন্ধি হবার আগে
ছোটবেলার অর্ধনগ্ন আপাদমস্তক -
যাকে কতবার স্পর্শ করেছি -
নির্মল শৈশবের আনন্দ ধারায়।
সেই শরীর চোখের সামনে পূর্ণাঙ্গতা পেল,
সৌন্দর্যের প্রতীক গ্রন্থীদ্বয় সহ -
চোখ মুখ ঠোঁট ভাসলো যৌবনের প্লাবনে ,
হাত-পায়ের আঙুল গুলোতে লক্ষ করলাম
কাছে যাবার জ্বালাময় সৌন্দর্য।
তারপর বহুবার তোর শরীর ছুয়েছি,
নির্দ্বিধায় তুই ও উজাড় করে দিয়েছিস -
সমস্ত সুপ্ত চাওয়া গুলো।
তোকে তুমি বলে ডাকি,
তোর চাওয়ার এটাও একটা অংশ ছিল।
কিন্তু বিশ্বাস কর -
তোকে না তুমি বলতে ইচ্ছে করে নি তখনও ।
হঠাৎ আজ বুকের ভেতর দুমড়ে মুচড়ে -
ঝড় উঠেছে যন্ত্রণার,
একবারও তো বলিনি তোকে ভালোবাসি,
তুই ও বলিস নি,
শুধু তুমি ডাক শুনতে চেয়েছিলিস ।
তবুও কেনো মুম্বই শহরের ভিড়ে -
তোর মুখটি ভেসে ওঠছে বারবার,
কেনো মনে হচ্ছে -
এতো ভিড়ের মাঝেও আমি একা,
কেনো মনে হচ্ছে আমি বড়ো অসহায়,
কেনো মনে হচ্ছে -
পাঁজর টা কেউ ভাঙছে আর ভাঙছে ?
বধূ বেশে তোর হাত আজ অন্য কারো হাতে -
তাই কি তোর না বলতে পারা চাওয় গুলো -
আমাকে কুড়ে কুড়ে খাচ্ছে?
আমার মুখে তুমি বলাতে পারলি না বলে
অভিমান করে চলে যাচ্ছিস..!
হয়তো তাই.......
হয়তো তুমি শব্দটি বলাবি বলেই -
তোর তোকে উজাড় করে দিয়েছিলি,
হয়তো ভেবেছিলি উজাড় এর মাঝে -
লুকিয়ে থাকা ভালোবাসা আমি দেখতে পাবো।
স্বপ্ন পূরণের খিদে আমাকে বুঝতেই দেয় নি -
আমাকে দিয়ে তুমি বলানোর মাঝে -
তোর ভালোবাসা লুকিয়ে ছিল।
আজ যখন বুঝতে পারছি -
মনে হচ্ছে এক লাফে দু হাজার কি.মি পথ -
পাড়ি দিয়ে পৌঁছে যাই তোর কাছে
তোকে জড়িয়ে ধরে বলি -
আজ তোকে তুমি বলবার জন্য ভেতরটা কাঁদছে,
কিন্তু দেখ,
নিয়তির কি করুন পরিহাস,
সেটাও আর তোকে বলা হলো না,
তাই কোনো তুমিও হয়তো আর আসবে না :
## পলাশ বিশ্বাস