সত্যি ঘটনা অবলম্বনে রচিত। শোনার পর নিজের মতো করে লেখা।
---------------কাগজে মোড়া সিঁদুর-----------
******************************
সেদিনও মায়ের পায়ের আশীর্বাদী সিন্দুর -
আশায় ছিল তোমার ললাট বিন্দুর ,
হতে চেয়েছিল সিঁথির অলঙ্কার !
মনে আছে তোমার ,
হাতটি স্পর্শ করেছিল ডান কাঁধ ?
বোঝাতে চেয়েছিল "ভেঙে দেব সব বাঁধ।"
মন বললো তুমি নতনয়নে ঘুরে দাঁড়াবে,
অধরপল্লব সোহাগের আশায় কাঁপবে,
চিবুক তুলে দেখতে পাবো জেদ কমেছে ,
টানা চোখের কোণে ছল ছল মুক্ত জমেছে ।
মন বললো অনুতপ্তের তপ্তকাঞ্চন হবে ,
জড়িয়ে ধরে আকার নেবে,
বুকে মুখ গুঁজে অঝরে ঝড়াবে শ্রাবণধারা ,
আমার মতো করে তুমি নতুনে হবে গড়া।
দু'হাতে শক্তকরে জড়িয়ে ধরে ,
শান্তির দীর্ঘনিঃশ্বাস ছেড়ে -
বলবো , সব... ঠিক হয়ে যাবে !
হাসি-কান্না'য় তুমি অভয় পাবে।
অথচ,
দামাল বৈশাখের দমকা হাওয়ার মত -
অনায়াসে প্রত্যাখ্যান করলে মনভাবনা যত।
তছনছ হলো সব ,
চারিদিকেই উঠল ভেঙে ফেলার রব !
সেদিন চোখে রক্তমেঘ জমাট বেঁধেছিল ,
একবুক ঢেউ উঠেছিল ,
পাঁজরতটও ভাঙল বারবার ,
কিন্তু বহিঃপ্রকাশ হয় নি তার ,
কাগজে মোড়া সিঁদুর বিদ্রুপ-হাঁসিতে -
চিৎকার করেও অসামর্থ রইল কাঁদাতে !
অবহেলা আর অনাদরে,
একদিন কাগজ তার সারা শরীরে -
ছেপে নিয়েছে দেখি সিঁদুর রঙে,
তিলমাত্রও অবশিষ্ট রাখেনি কোনো কোণে !
তারপর আর ফিরে দেখা হয়নি,
ঠিকানা যে দেওয়া যায় নি।
শুধু বছরের পর বছর কেটেছে মরা প্রাণে ,
দশক পার হয়ে দ্বিতীয় দশকের টানে !
## পলাশ বিশ্বাস