-----হাবু...মানুষ কই..? -----
******************************
বাতাসের শরীরে কান পেতে শোন,
করুণ রাত্রির যন্ত্রণার কান্না শুনতে পাবে :
রক্তে ভেজা বাতাসের নিঃশ্বাসে ;
কচি কচি হাতের বাঁচার আর্ত নাদে -
কেঁপে ওঠে ফুসফুস, অলিন্দ নিলয়,
কাঁপে না তবু 'মেরুদণ্ড !'
কত গর্ভ'র দশ মাস দশ দিন পরের -
প্রথম আলো দেখা হয় না!
আসুরিক ক্ষমতায় কেড়ে নিতে পারি ফুতকারে ।
ছিনিয়ে নেয়া আলোয় মানুষ পুড়ছে!
কেন নিলাম প্রশ্নে বিমুখ পরাজিত সমাজ, তবুও -
বীজেতার মত বুক চিতিয়ে আছে বিবেক!
শোক বুঝি ব্যক্তিগত....?
"ছেলে বিয়ে দিলাম বৌমা মরলো,
মেয়ে বিয়ে দিলাম জামাই যমে নিল,
এবারের মরণ পরে পরেই গেল।"(প্রচলিত উক্তি)"
ও সব দুঃখের রাতির শেষে ;
আমার স্বপ্নের সোনার সূর্য ওঠে ।
এ তো বোধগম্য হল, কিন্তু ;
ভয় নাকি স্বার্থের অপঘাতে আত্মঘাতী ?
এই ভাইরাসের সংক্রমণ বাতাসের আত্মায় মিশে ;
মানুষ দুরারোগ্য দুর্বলতায় ভুগছে।
মধ্যযুগীয় অভিশাপের আনন্দে ;
তোমার সূর্য যে প্রতি রাতে মরে!
ও মুসলিম ও হিন্দু,
ঐ গ্রামে খ্রিস্টান, পাশের দেশে বৌদ্ধ, শিখ কত কি...
হাবু.... মানুষ কই.....!?
হাঁড়িতে ফোঁটা চালের জাত নেই,
জিজ্ঞেস ও করে না কখনো কার ক্ষেতের....।
ওই চূর্ণীর জলের আবার জাত কি আব্বাস ..?
সবার গা ভেজায়, সবার ক্ষেতেই শষ্য ফলায় ।
হাসপাতালের রক্ত কখনো বলে,
অন্য জাতের শরীরে যাবো না..?
এক নারী অন্য পুরুষ ভিন্ন বিজাতীয় সব -
স্বার্থের তরোয়ালে ভাগ করা।
ও পাড়ায় রাম মরে, এ পাড়ায় র হিম,
দেখোগে, বিষাদের তফাত যদি কিছু পাও।
শোক আর চোখের জলের মধ্যখানে বসে ;
বিভীষণ আর মীরজাফর শুধু দর কষে।
আমার হার তোমায় জয় এনে দেবে ঠিকই , কিন্তু ;
সব গরিবের মাঝে তুমি একা ধনী,
আখেরে কি লাভ...?
হয়তো জানি, হয়তো বা না জানার ভান করে ;
ভাণনুমতী'র খেলা দেখা হাবু !
তবুও যদি মনে হয়, সূর্য ঢাকা গেলে -.
বাতাসে কান পেতে শুনে নিও করুন রাত্রির কান্না।
তাহলে ; শহর, গ্রামের মধ্যে পাড়া,
আর পাড়ায় পাড়ায় কোন জাত থাকবে না,
শুধু মানুষ দেখা যাবে আব্বাস,
সব মানুষের রক্তই তখন নিজের মনে হবে হাবু :
##পলাশ বিশ্বাস