-----অনন্ত এ দায় ভার ---
*****************************
সন্ধ্যা অন্ধকারকে আমন্ত্রণ জানালে ;
রাত্রির নেশায় সে আঁধার গাঢ় ।
ভালোবাসা ভাবোদ্রেক হলে ;
হৃদয়ের গভীরে তার রঙ প্রগাঢ় ।
এর... পর ?
তমসাবৃত বীজ মৃত্তিকার বুকে মুখ গুঁজে পড়ে থাকে,
শিশিরে ভেজা প্রভাতের রশ্মি'র আশায়,
তার পর প্রতিবন্ধকতার সাথে সন্ধি!
বিষয়ের বিস্ময়ে উপলব্ধি প্রবাহিত ধারা -
বাঁধ ভাঙা প্লাবনের জলের মতো ;
শিরা-উপশিরার অলিগলি বেয়ে -
পলি জমে যখন উর্বর ,
নিষিক্ত ও পরিপক্ব ডিম্ব তখন উর্ধমুখী ।
অঙ্কুরিত অন্ত:স্থল কিছু সময় পর অন্তঃসারশূন্য !
সারশূন্য অন্ত:পুরের শেকড়, অণু শেকড় -
নতুন বীজের সম্মান রক্ষায় -
আরো..... মাটির গভীরে তমসাবৃত ।
আলো তার তামশা যেন!
অনন্ত এ দায় ভার -
বিগ্রহের মঙ্গলালোয় আলোময় চরাচরে -
জীবে, কীটে বিদ্যমান জীবনের উত্থান পতন।
যত ক্ষন প্রাণ প্রাণবন্ত ;
ততক্ষণ প্রাণে প্রাণে জাগ্রত প্রেম,
হায় ; এ কি মায়া, এ কি প্রেম, এ কি ভালোবাসা !
সুধা সম ক্ষুধা প্রীতি ;
মানে না যে কোনো অনুশাসন, কোনো রীতি ।
তাই ধারাবাহিকতার ধারায় -
সন্ধ্যা আবার রাত্রির বুকে মাথা রাখে ।
আবার বীজ, বীজে ভ্রুণ, ভ্রুনাঙ্কুর ,
মেরুদণ্ডে শক্তি সঞ্চয়কারী কর্তব্যরত শেকড় ।
অনন্ত এ আলো, এ তমসার মত ;
যেন অনন্ত এ দায় ভার!
## পলাশ বিশ্বাস