টুপ টাপ শব্দে ঝরে চলে অবিরত
আম্র শৈশবগুলো নিত্য ক্রমাগত।
নিমেষেই ছুরি মেরে যেন নিজ সুখে
স্বপ্নেরা আছরে পরে মেদিনীর বুকে।
বাতাস অক্ষম যেন শূন্যে কোল বুনে
বন্দী করতে ওদের স্নেহের বাঁধনে।
অকল্মষ উঠোনের ওই পূণ্য ভূমি
হলো ললিত স্বপ্নের এক বধ্যভূমি।
ভাবিকাল দিন গোনে তারি এক কোণে
স্বপ্ন জাল বোনে ‌‍‌‍চাড়া লঙ্কার মনে।
বিকেলের তোলা জলে উদর ভরিয়ে
আসমান পানে তরু পল্লব ছড়িয়ে
এলোমেলো বাতাসের প্রশ্রয় বিলাসে
ছুট দিতে চায় শিশুসুলভ উল্লাসে।
রৌদ্রের অংশু যেন পরন্ত বিকেলে
বাতাসের ঢেউ তালে লুকোচুরি খেলে।
ডাল পালা আর অজস্র পাতার ফাঁকে
দূরে রেল লাইনে সন্ধ্যে নামার আগে,
পথ চিনে ঘরে ফিরে কপোতের দল
শুরু করে অবকাশে কপট কোন্দল।
পাখার ঝাপটে যত মিলিয়ে হিসেব
ঘোষনা দিতেছে বুঝি হলো মাগরেব।
আঁধারেরা ভিড় করে আসে চারপাশে
দেয়াল ললাটে বালব জ্বলে অভ্যাসে।
জানালার চোরা পথে এসে বিছানায়
ঘুম যেন আঁধারের আলোক ভাঙ্গায়।
আধো আলো আঁধারের শান্ত সেই দ্যুতি
জাগায় প্রানেতে এক মৃদু অনুভূতি।
দূরে থাকা পৃথিবীটা অনায়াসে জোড়ে
দুহাতের মাঝে ধরা চৌকো অবসরে।
বুড়ো আঙুলের উচু নিচু ইশারায়
আঁধারের স্রোত বেয়ে সুর বয়ে যায়।
সহসা সজোরে ডেকে দেয়ালের জ্যেষ্ঠী
জানান দিতেছে বুঝি রাত হলো মিষ্টি।
অফিস ছুটির পরে ফাঁকা হল ঘরে
নিরবতা টাও যেন শোয় পাস ফিরে।
চাঁদের নরম আলো হয়ে নিরুপায়
রোজ দেখে হায় শৈশব ঝরে যায়।
ওরা ঝরে চলে নিশীথের আবডালে
ছুরি মেরে নিজ বুকে বিষন্ন সকালে।