সোনায় মোড়া ছিল আমার এই ছোটো মাঠের গ্রাম
হটাৎ যেন অহংকারে পালটে গিয়ে হারিয়েছে তার মান।।
ছিল কত আশা ছিলো অনেক ভালোবাসা
হটাৎযেন পালটে গিয়ে ভরে দিয়েছে নিরশা। ।
ছিল কত ভালো মানুষ এই ছোট্ট গ্রামে
দিয়েছিল কত শিক্ষা মোদের এই প্রাণে।।
হয়তো ছিল তারা অনেকের কাছে ভালো
আবার হয়তো বলতো তাদের অনেকে কালো।।
অহংকারীদের সেই ছল
ভেঙ্গেছিল শ্যামা দাদুর বল ।।
গাইতো গান মনেপ্রাণে
দহ্মতা ছিল তার রামায়ণে ।।
আর এক ছিল আমার প্রিয় সুনীলদাদু
মিথ্যে বলে সব সময় করতো সবাইকে কাবু।।
রান্না করা ও সংলাপেতে তার ছিলো অনেক জ্ঞান
অনেক সময় তার কথা বাড়িয়ে দিতো মোদের জ্ঞান ।।
অনেক সময় মনে পড়ে যায় বিভূতি দাদুর কথা
তিনি ছিলেন স্কুলের শিক্ষক শেখাতেন অনেক কথা ।
মনে পড়ে যায় অনেক সময় সুমন্ত দা ও শশা জেঠার কথা
অসময়ে প্রাণ দিয়ে তারা দিয়েছে অনেক ব্যথা ।।
ভগবানের এমন কঠোর পরিহাস
সুদা দা কেও করে নিলো গ্রাস ।।
তার তিনটে মেয়েকে করল অনাথ
ভগবান কি দিলো তাদের সাথ ?।।
ভুলতে পারবো কি কেও এদের কথা ?
ভগবান কেন দেয় মানুষদের এতো ব্যথা ।।
এক যে ছিলো হাসির দাদু সবাই বলত তারে বড়ো দাদু
ভাইয়ের দুঃখে কাতর হয়ে ছাড়লো পৃথিবী
ওই দাদু ।।
গোপাল, সূর্য, ফকির , কালো এরাও ছিল অনেক ভালো
তাওতো মৃত্যু তাদের কে নিয়ে গেল ।।
শুনেছ কি কেও আর কোথাও ভেসেছে মৌরলা মাছ গরম তেলে ?
নিয়ে যেতো এই তেল দূর দুরান্ত থেকে হাঁটুর ব্যাথা হলে ।।
করতো সবাই আখের চাষ
গুড় হতো তাই বারো মাস ।।
মাঠে ভরা আমার এই ছোটো গ্রাম
হে ভগবান ! রেখো কিন্তু এর মান ।।