ধুলো ওড়ে রাঙ্গামাটির রাস্তায় আর পাহাড়ের খাঁজে
যেখানে সূর্য ডোবে পলাশের লালে, লাটাইয়ের সাজে
চড়াই উতরাই ইচ্ছেরা ঘুড়ি ওড়ানোর নেশায় মাতে
পরিযায়ী পাখিরা ঘুড়ির সুতো কেটে দিগন্তে।
সব সুতো কাটে,
কাটে নাকো সেই প্রেমের রেশ
বোঁটা থেকে ঝরে পড়ার পরেও ফুলের লেগে থাকা লেস
ছুটে যায় জলরাশি ডুলুং এর পাড় ঘেঁসে
মসৃন স্রোত কেটে যায় পাথরের টানে
হাতে হাত ছোঁয়া লাগা ভেসে গেলে খরস্রোতে
শব্দ হয়, বড়দের ডাক আসে – হবে যে ফিরতে
সব ঘোর কেটে যায়,
কাটে নাকো সেই প্রেমের ঘোর
স্বপ্নেরা এলোমেলো ডুলুং এর প্রেমে রাত ভোর
অতীতেরা ভেসে ওঠে, ওড়ে ঘুড়িদের মতন
ফিজিক্স টিউশনে দাঁড়িয়ে থাকা হাপিত্যেশ মন
এক ক্লাস উঁচু আমার, স্যার পড়াত অনেকক্ষণ
এক ঝলক ছুটির পরে উদ্বেলিত বুকে
সে তো সবই বলে যেত, মাথা থাকত ঝুঁকে
কেমিস্ট্রি স্যার শুভ বাবুর চশমার উপর চাহনি
সত্যি বলছি, তার পর আর মুখোমুখি হইনি
বাড়তে বাড়তে বয়স যখন ইউনিভার্সিটির
কাঁসাই নদী তলপেটে, লাটাই কাটা ঘুড়ির
ইচ্ছে মত কথা বলা বাদাম গাছের তলে
কি এত কথা তার সাথে? ক্লাসের ফাঁকি ইউনিভার্সিটিতে চলে?
ধুর ! বলা যায় নাকি সেসব ?
বলতে পারি , সব কথাতেই ঝরাত সে সুর
হাঁ হয়ে সব শুনে যেতাম
অনেক কথা ঢুকতো না কানে
এটা সেটা অনেক কথা,
খুঁজতে নেইকো সব কথারই মানে।
উড়তে উড়তে ঘুড়ি যখন পাকিয়ে দিল দাড়ি
পড়ছে মনে ডুলুং আর নতুন ভাঁজের শাড়ি
কেটেছে তো অনেক কিছুই
কাটবে বোধহয় সব
একটা জিনিস কাটেনা দেখছি
কাটে কি? ভোকাট্টা হয় কি প্রেমের ?
একবার হয়ে গেলে, আজীবন হৃদয় ফ্রেমের।