পরশ্রীকাতরতা ছেড়ে হাঁসেরাই পারে
একে অপরের পালকে জোনাকি জ্বালতে।
সন্ধ্যার কুন্ডলী
গাঢ় হয়ে এলে ল্যাংচাতে ল্যাংচাতে
জোনাকির মাঠ থেকে চৈ চৈ ভেসে এলে সার দেয়
ঘরে ফিরবার
অনবসিত স্মৃতি ঝেড়ে
সংরক্ত ঠোঁটে ভালোবাসা চেপে অনুসরন।
ধুলোমাখা লিপ্তপদে জড়িয়ে থাকে বিল পুকুরের ঘ্রান,
মায়াকাজল চোখে
পাক খেতে খেতে মিহি স্বপ্নেরা।

নিরব সন্ত্রাস পায়ে হেঁটে চলা
স্বাধীনতা বেচে রাতের নিরাপত্তার খোঁজ
হৃৎপিণ্ডে আফ্রিকার ক্রীতদাস
পক্ষাঘাতগ্রস্ত রাত কেটে গেলে
নতুন সুখ, সাবালক হয়ে পাড়ি দেওয়া
সারারাত চোখবুজে গঙ্গার স্বপন দেখা...
জোনাকিরা সারারাত সাঁতার কাটে
মাগুর মাছ জেলের ডাকে আঁতকে ওঠে

অসহায়তার শরৎচন্দ্র হাঁসেদের কাব্যে
ইচ্ছে করে শোয়ার ঘর ছেড়ে জলে নামি
ভ্যাপসা গরম জেরবার
ডুবে আসি বিলপুকুরের পাড়
নাহলে
পাপনের রঙ পেনসিল দিয়ে জল আঁকি
কবিতার খাতা এখনোতো বাকি
দুঃখ গুলো চাপ বেঁধে আছে।
পরাধীন স্বপ্নেরা বাউন্ডারি ভাঙ্গতে চায়
আত্মরতির আয়না বানায়
টলটলে জলে চাঁদের ছায়া
জল নয়। স্ফটিকাকার অ্যাসিডের আস্তরন !
পুড়িয়ে দেয় অবয়ব।
টলটলে কালো জলে চকচকে মরন
পঙ্গু রাত ঘিরে ধরে আগামীর আশা।

অনর্গল রিং মাস্টারের ডাক ভেসে আসে চৈ চৈ...
স্বাধীনতা বেচে শুধু নিরাপত্তার খোঁজ