হাতড়াচ্ছো সেই রাস্তা, খালপাড় বরাবর চলে গেছে চরের দিকে।
মিঞামোড় থেকে দখিন হাওয়া
নোনাপথ, মোরাম পেরিয়ে যে লোকটা বাঁধানো পথ দিয়ে হেঁটে গেছে
পথ পেরিয়েছে ইতিহাসের গন্ধে।
গন্ধ কোথায়? কাদাজল গড়িয়েছে মোহনায়।
মাটিজলমাখা সেই লোক বীরবন্দর বাজার
থেকে নতুনবাজার, হলুদবাড়ী, মাথাভাঙা, কামারদা, শ্যামপুর
তুফান গাজীর মেলা, মাটির ঘোড়া নিয়ে
মানুষজন পেরিয়ে হেঁটে চলেছে।
নোনাচর উপকূলীয় ইতিহাস
তুমি শুয়ে পড়বে সেই বালির উপর
সুর শুনিয়ে যাবে একাকী বাতাস
লড়াই, প্রতিবাদ, বীরত্ব -গাথা বহু মূর্তির মত ভেঙে গেছে, ক্ষয়ে গেছে, ধুয়ে গেছে খালের জল।
মাঝরাতে স্মৃতিমঞ্চে ভেসে আসা বিলপুকুরের মাঠ থেকে শিয়ালের ডাক
তোমাকে পৌঁছে দেবে নামহীন দেশে
ঘনঝোপে বাঁশবনে ঘুটঘুটে অন্ধকার
তুমিও ফিরবে না , হয়তোবা মিশে যাবে খালের জলে
ইংরেজ লুটেছে ধানের কারবার
তারপরে বহুবার বারবার...
তোমার কন্ঠ শুকিয়ে কাঠ, প্রতিবাদী পাঠ।
তোমার ফেরা হবেনা, অন্ধগলিতে ঘুরপাক খাবে ঘূর্ণি জলের মতো
খুঁজে বেড়াবে দিশেহারা রাস্তা, বাজার, মানুষ
রাস্তা নেই ফেরবার, নির্ভয় বাঁচবার
মজে যাওয়া খালে বন্ধ পারাপার ।