রক্ত মাংসের শরীরে পোষ মানানো অভাবী পাখি। পাখি যে কথাগুলো বলে বা ভাবনার ঘরে বন্দী রাখে তাতে রোদ নেই। অনঙ্গ ‘নাই’ এর অসীম বৃত্তের মধ্যে ঘুরে বেড়ায় সংখ্যা গরিষ্ঠ চোখ। বেচারা নিধিরাম কখনো বুঝতেই চাইল না, এই চোখ থাকাটাই বা কম কিসের? অনেকে প্রথম শ্বাস গোনা থেকেই আলো দেখে নি! এরকম অসংখ্য লোকের থেকে তোমাকে বিশেষ সুবিধা দিয়ে গৌরকুণ্ড থেকে পাঠানো হয়েছে। আর দেখবার শক্তি নিয়েও প্রজাপতি হয়ে উঠতে পারলে না। ফুসফুস ভরে ঐকান্তিক বিষাদ এর শ্বাস ভরে নিলে। অথচ একটা জলরেখাকে অতিক্রম করতে পারলেই হয়ত দেখা যেত সবুজ দূর্বাদল, হলদে মঞ্জুরি আর তার উপর বসে থাকা ভাবনা হীন কিছু অস্তিত্ব। আঙ্গুল ছুঁয়ে আলো চলে যাবার আগে, শেষ বারের জন্যে কি মানসিক বিকলাঙ্গতা কাটিয়ে ওঠা যায়! পাখি টাকে ছেঁড়ে দাও মনের খাঁচা থেকে। উড়তে দাও সময় থেকে সময়ের ভঙ্গিল প্রস্তরের বাঁধা প্রাচীর ছিন্ন করে। ডানায় ভর করে পৌঁছে যাক সব পাওয়ার দেশে। ফিরে এসে তোমার বুকে সুখের পিলসুজ জ্বালবে নিশ্চয়।
কবিতাটি ৫৪৮ বার পঠিত হয়েছে।
প্রকাশের সময়: ০৪/১২/২০১৩, ০০:৪৬ মি: