‘বিড়ালঘেঁষা’ এই শব্দ টা এতবার কারণে ও অকারণে শুনেছি, যে মনের কষ্টি পাথরে শব্দটা গেঁথে গেছে অযাচিত ভাবে। এর প্রয়োগ শিরায় শিরায় বাটা লঙ্কার মত জ্বালা ধরিয়ে দিত। ধরুন, দাদা-দিদিরা চুপি চুপি কিছু নিয়ে কানাঘুষা করছে, আমি যেতেই চোখ টা রসগোল্লার মত করে বলে ফেলল তুই যা তো এখান থেকে। বড় দের এখানে আসতে নেই যখন তখন, এক্কেবারে ‘বিড়ালঘেঁষা। মায়ের সিনেমা দেখার বাতিক। কোলের ছেলে রেখে যাবে কি ভাবে ? আর আমিও ব্যাটা বেজায় পাঁজি। যেই মা সাঁজু গুঁজো করে রেডি, আঁচল ধরে নট নড়ন চড়ন। সুতরাং মায়ের বন্ধু মহলেও একই উপাধি পেয়েছিলাম ‘বিড়ালঘেষা। রাতের বেলায় বিছানায়, চোখ বুজলেই ঘুম। আর পাশে যিনি বা যারা শুয়েছেন, কারোর রক্ষা নেই, ঠ্যাং উঠে গেল গায়ের উপর। শীতকালে তাও ঠিক আছে একটা ওম পাওয়া যায়। ভর গরমে! ওরে বাবা সেই একই হাঁকডাক ‘বিড়ালঘেঁষা’। সময়ের চাকা টা অনেক টা বসন্ত হেঁটেছে। ঘরে এখন আরও তিনটে বিড়ালের সাথে আমি বাস করছি, আমার আদরের গৃহিণী, ছেলে আর মেয়ে। আমার চেয়ে কে ভাল করে জানে বিড়ালঘেষা শব্দের মানে? ধেড়ে আর মিনি বিড়াল গুলোর পৃথিবী টা খুব ছোটো। শুধু আমার গা ঘেঁষে থাকতে চায় সব সময়।
কবিতাটি ৭১৮ বার পঠিত হয়েছে।
প্রকাশের সময়: ০১/১২/২০১৩, ০৫:৪৫ মি: