অযাচিত ছায়ালোক শুষে নেয় কাঁচা হলদে রৌদ্দুর
ওই ধূম্র পথে চামর দোলাতে দোলাতে আসে তামসী
থাউকো আঁধার দূষ্যদৃষ্টিকে মোহবানে ঘিরে ফেলে
অস্তমিত ছায়ার গহীন ঘনত্ব, দুঃসাহসী ডানা,
আগুনে শানানো ইতিহাস ‘নারীত্বের’ অসহয়তা।
পৌরষত্ব করে আজন্ম লালায়িত বিশ্বাস ঘাতকতা
জরায়ুর শেষ বাতি নিভে গিয়ে মৃত্যুর হিম
নারী শব্দ টা যৌন, দাখিলি মিনিটি সুখবুক ভোগ
শাড়ীর শুকনো ভাঁজে গোপন সুখের বীজ
ছিটছাট জমানো রসের তলাপাত্র, পরিশূন্য শেষ চুমুকে
জবরদস্ত শরীরী উৎপাতে ছিঁড়ে খায় নারীবাদী মন।
অথচ নারী জলের মত, নিজস্ব ভালোলাগা বিসর্জন
হাজারো পাত্রের অবয়বে নিজেকে গড়েছে সহনশীল
সহস্র বছরের পাঁজরে কলঙ্কের ফরিয়াদি শুধু নারী
হে নরোত্তম, তোমার বিধাতাও একজন কামুক পুরুষ
নিজের একহাতে পৌরষত্ব, আর এক হাতে শরীরী জ্বালা
সৃষ্টি লগ্নে কন্যা ভ্রূণে লিখে দেয় অনাচার অনিবার্য।
বিষ আগুনের পুড়তে পুড়তে নিঃশেষিত তনুমন
রক্ত ছায়ারা হেঁটে চলে ভয়ের ব্যাকরণ খোলামকুচি
সতীত্ব এর বিচার করে পচা শৈবাল দাম
যদি কিছুটা পাথর ভেঙ্গে নিত আলোর হাত
আঁধারের বোঝা কমত শরীরের হাহাকার থেকে
যতটা কাঁদলে পরে পৃথিবীতে হাজার মোমবাতি জ্বলে
নারীপক্ষ জাগ্রত হোক মানুষের চেতনার ভিড়ে।।