আলোর যাতায়াতের পথে অন্ধকারেরা কেমন আঁড়ি পেতে আছে অনন্তকাল থেকে, ঠিক পাহাড়ি রাস্তার ঘোরটোপের মত, প্রতি মুহূর্তে দ্বিমুখী সম্ভবনার জাল পাতা। অযর্মা রাত্রির আলোর হাঁটে, গিলোটিনে বিদ্ধ করেছিল কিছু আশানুকামি আলোক চেতনার বুক। আলোর মৃত্যু তে কালো হাতের বসন্ত আসে, আঁধারেরা লাশ বুকের হিম ঠাণ্ডায় হাত রেখে কসমিক উল্লাসে বদ্ধ মাতাল হল, হাতে হাত মেলাল কায়েমি স্বার্থের বুনিয়াদ প্রতিষ্ঠার জন্যে, উদ্ভিন্ন হেমলক প্রজাতির মুখবিবরে দানা বেঁধে রইল অন্তঃক্ষরা আঁধার বীজ। এই রূপান্তরের পুঞ্জাক্ষির স্থিরতা কতটুকু? পুঞ্জিত ভুলের অশনি মেঘ ঢাকা চাদর সরিয়ে আলোক বৃত্তের খোঁজে বেরিয়ে পড়বে দিকভ্রান্ত অন্ধকার। নিজের ছায়ার সাথেই আমরণ গৃহযুদ্ধে লিপ্ত হবে আঁধারের উলঙ্গ শরীর। আরেক টি মহাপ্রলয় এর মুখোমুখি হতেই হবে ইতিহাসকে, ধ্বংসের উদগ্র কাম তছনছ করে দেবে অন্ধকারের বেদি, রক্তের রুক্ষতা মেখে নশ্বর নিত্যতা পাপ মোচনে ব্যস্ত হয়ে পড়বে। আর এরই মাঝে শান্তির ক্রোড়পত্র লিখবে কোনো এক বেদব্যাস। এক ফালি চাঁদের গায়ে লিপ্ত হবে আলোকের শুভ দৃষ্টি, হারানো সময়ের রঙ চটা ঠোঁটে ফিরে আসবে মানবিকতার রাঙ্গা পলাশ কলি। আমরা আশার বুক সেতারের সুরতারে বেঁধে আলোক স্নানে মগ্ন হয়ে পড়বো বিষহীন নির্মল পৃথিবীর খোঁজে।।
কবিতাটি ৮৯৬ বার পঠিত হয়েছে।
প্রকাশের সময়: ০৩/১১/২০১৩, ০১:৩২ মি: