৮ ই মাঘ
বাড়ীর ছোট মেয়েটার ঘটা করে বিয়ে হলো
আলোরোসনাই থেকে ব্যান্ড
যেন এক রাজকন্যের বিয়ে
ছেলে মস্ত চাকুরে নিজের ফ্ল্যাট গাড়ি
কি নেই ? খোঁজ খবর নিয়েই...
লাল বেনারসীতে স্নিগ্ধ রূপের ছটায় মেয়েটা বিয়ের পিঁড়িতে ...
গায়ের রং ফর্সা
চোখ দুটো টানা টানা
একবার দেখলে চোখ সরে না ।
৯ ই মাঘ
প্রাণচঞ্চল মিষ্টি মেয়েটার
দুরদুর বুকে নতুন দাম্পত্য জীবন শুরু হলো
মা বলেছিলো
সব ভুলে গেলে চলবে
সিঁদুর ভুলিসনা ।
১০ ই মাঘ
ফুলশয্যা হলো মেয়েটির
চোখে রঙীন স্বপ্ন
স্বামী সংসার স্বপ্ন
১১ ই মাঘ
অফিস ফেরত স্বামীর অপেক্ষায়
নববধূ সন্ধ্যায় একটু সেজেছে
আদর করে ;তাড়াতাড়ি ফিরবে বলেছিল অফিসে বেরোনোর সময়ে
দেরি হচ্ছে ...
কিন্তু হাজারো প্রশ্ন মনে উঁকি মারে নব্য বিবাহিতার
কোন বিপদ -আপদ
নিজেই নিজেকে সামলে নেয়
ওসব বলতে নেই
মাঝে মাঝে দেখে নিচ্ছে
সিঁদুর গড়িয়ে নাকে পরে নি তো
ঘড়ির কাটা ছন্দে ছন্দে সময় দিচ্ছে
মন চঞ্চল হয়ে ওঠে
এত দেরী !
ফোন করেছে
সুইচ অফ
আয়নার সামনে
নিজেকে একবার দেখা নিলো
রাত এগারোটায় মোবাইল ফোনটা বেজে উঠলো
আপনাকে একবার থানায় আস্তে হবে ...
আজ সন্ধ্যায়
দুটো গাড়ির মুখোমুখী সংঘর্ষে
দুজনের মৃত্যু হয়েছে
বডি দুটো মর্গে আছে।
১২ ই মাঘ
সিঁথি হয়েছে ফিকে রঙের পরশ ছেড়ে
অবোধ নয়নে রঙের রসিকতা দেখে।
১৩ ই মাঘ
সকাল থেকে বাড়ীর ছোট মেয়েটা খাটের এককোনে বসে রয়েছে সাদা কাপড়ে
আলমারি থেকে লাল বেনারসীটা উঁকি মারছে।
১৪ ই মাঘ
অফিস থেকে লোকজন এসে কাগজ পত্রে সই করে নিয়েছে সদ্য বিধবাকে যেনো সমস্যায় পড়তে না হয়।
১৫ ই মাঘ
এই কদিন বাড়ীর সদ্য বিধবাটি কিছুই তোলা নি মুখে, আজ কলাপাতায় মালসা পুড়িয়ে বসেছে।
১৬ ই মাঘ
সিঁদুর কৌটটা টেবিলের এককোনে পড়ে রয়েছে
লালটিপটা আয়না থেকে খসে পড়েছে।
মেয়েটার আজ অষ্টমঙ্গলা ।