তোমার বয়স যখন দশ;
রজঃস্রাবের রক্ত দেখে মাকে কাঁদতে কাঁদতে বললে,
"মা আমি মনে হয় মরে যাচ্ছি"
সেদিন তোমার মা চোখ মুছে দিয়ে বললেন-
এক আশ্চর্য কথা;
তুমি শুনছিলে নক্ষত্রের সব বিস্ময় নিয়ে
তোমার বয়স যখন ষোল;
তুমি প্রথম প্রেমে পরলে,
প্রেমিকের প্রতিটি স্পর্শে তোমার মন কেঁপে উঠতো-
মৃদু হাওয়ায় গোলাপের পাপড়ি যেমন কাঁপেঃ
তোমার সমস্ত আবেগ আর বিশ্বাস দিয়ে ভালবেসেছিলে তাকে
তোমার বয়স যখন আঠেরো;
ছলনা শিখে নিলে পুরোদস্তুর
কত যুবক তোমার কথা ভেবে ভেবে নষ্ট পথে পা বাড়াচ্ছিল-
তুমি গা করোনি
কি বা আসে যায় তাতে?
একটু ছোঁয়া, একটু চাহুনি, একটু স্বরের কোমলতা-
যদি সুখ দেয় তবে হোক না তাই
সারাটা যৌবন তুমি সুখই কুঁড়িয়েছিলে
তোমার বয়স যখন একুশ;
তোমার বিয়ে হলোঃ
সমস্ত অহংকার স্বামীর পায়ের কাছে রাখলে,
কয়েকটা বছর সুখে কাটল,
ভেবে ছিলে খেলা শেষ-
এখন অখন্ড অবসর
তোমার বয়স যখন তেইশ;
মা হলে তুমি
দুধে ভেজা সন্তানের মুখের দিকে তাকিয়ে-
তুমি কিছুক্ষণ কাঁদলে
সেদিন তোমার ভীষণ ভাবে মায়ের কথা মনে পরছিল;
মা হলে বোধয় এমনই হয়
তোমার বয়স যখন তিরিশ;
প্রথমবারের মত ধর্ষিত হলে তুমি
তোমার স্বামীর অফিসের লোকটা যখন তোমার শরীরে-
নেকড়ের মত থাবা বসাচ্ছিল,
তুমি চোখ বন্ধ করে ভাবছিলে-
এক্ষুনি ঘুম ভেঙ্গে উঠে বসবে তুমি
কয়েক ঢোক জল খেয়ে ঘুমিয়ে পড়বে আবার
তোমার বয়স যখন তেত্তিরিশ;
আবার প্রেমে পরলে তুমি
প্রেমিকের বুকে মাথা রেখে কতবার চেয়েছো
একটু স্বার্থপর হতে, নিজের কথা ভাবতে
তারপর সন্তানের ফ্যাঁকাসে মুখটা ভেসে উঠতেই-
নিজেকে সংবরণ করেছো বারংবার
তোমার বয়স যখন চল্লিশ;
অপঘাতে মৃত্যু হয়েছিল তোমার
হাঁসপাতালের মর্গে রাখা ছিল লাশ,
তোমাকে ধর্ষিত হতে হয়েছিল আরেকবার
তোমাকে সমাহিত করার সময়ঃ
কেউ দেখেনি-
তোমার উরুতে লেগে থাকা বীর্যের দাগ!
তুমি নারী, তুমি ছলনাময়ী