আমি হলফ করিয়া বলিতে পারি
তোমার মতন এত সুশ্রী, এত মিষ্টি রমণী
খুব অল্পই রহিয়াছে দুনিয়ায়
দু নয়ন জুড়াইয়া দেখিনা তোমারে,
দেখিবার সাধ যদিওবা রাখি
দেখিবার রাখিনা অধিকার, হায়!
তোমার মতন এত সুশ্রী, এত মিষ্টি রমণী
কোথা গেলে আমি পাই?
তোমার লাজুক বাঁকা হাসিতে
আমি মুগ্ধ হইয়াছি চকিতে,
নিস্পাপ বিনয়ী শরীরি ভাষা,
নয়নশীতল নিয়ন্ত্রিত চঞ্চলতা,
দেখিয়া বিধ্বস্ত আমার হৃদয় নিমিষেই!
যদি পারিতাম তোমারে কবিতা দিয়া আঁকিতে, হায়!
তোমার মতন এত সুশ্রী, এত মিষ্টি রমণী
খুব সামান্যই জন্মায় দুনিয়ায়
ক্ষণকালের তরে চক্ষু বাঁকিয়া
যখন আমার দিকে চাহ,
স্পৃহা করি, শব্দভান্ডার উজার করিয়া
স্তরে স্তরে তোমারে সাজাইয়া
লিখিয়া ফেলি ইতিহাসের শ্রেষ্ঠ কবিতা
লিখিবার সাধ যদিওবা রাখি
লিখিবার রাখিনা সাধ্য, হায়
তোমার মতন এত সুশ্রী, এত মিষ্টি রমণী
অপারগতায় যেন হারাইয়া না যায়!
আমার এই কবিতাখানি কি পাইবে
রবীন্দ্রের মতন পাঠক প্রিয়তা?
হাজারও পাঠক কি এই কবিতা
ঘুরিয়া ঘুরিয়া করিবে পাঠ?
আমার এই কবিতাখানি কি
পৌঁছাইয়া দিবে তোমার নিকটে?
মিটিবে কি তোমারে পাইবার আমার আশ!