মৈত্রীর মুখ মালতি ফুলের মতো মায়াবী,
যখন সেই মুখ থেকে বকুলের মতো ঝরে পড়ে হাসি,
তখন আমি আনন্দের জোয়ারে ভাসি।
এই পৃথিবীর সব থেকে সুন্দর মৈত্রীর দুটি আঁখি,
যেন প্রশান্ত দ্বীপের অশান্ত বাঁশি,
আমার ক্লান্ত হৃদয়কে বলে ভালোবাসি।
মৈত্রীর কালো ঘনো কেশ, যেন এক হরিণীর বেশ,
নীল প্রজাপতির দেশ।
যখন সেই নীল প্রজাপতির দেশে বসন্ত আসে,
তখন কোকিলের মতো কথা ফোটে
মৈত্রীর শিমুল ফুলের মতো লাল ঠোঁটে ,
যেন গোলাপের সুগন্ধ ঝরে পৃথিবীর বুকে।
মৈত্রীর অপ্সরীর মতো অপূর্ব রূপ ,
ধুমকেতুর মতো জাগে খসে পড়া নক্ষত্রের মাঝে।
এই ফাল্গুনের আকাশের নীলে,আমের মুকুলের মতো,
মৈত্রীর গায়ের গন্ধ ভাসে।
এই শরৎ এর বাগানে,
তুষার সাদা মৈত্রীর শরীর, যেন কাঁশফুলের মতো মসৃণ!
এই হৃদয়ের নির্জন বনে, মৈত্রী আর আমি,
যেন এক জোড়া কপোত-কপোতী,
এই ফাল্গুনের বাতাসে দুজন দুজনার হতে এসেছি।
জানিনা এই ভালোবাসা পারবে কি ছুঁতে পাহাড়ের চূড়া?
তবুও আমি মৈত্রীর অপেক্ষায়, যেন অনন্ত জীবন ধরে।
অনন্ত জীবন পরেও,জেগে থাকবো জোনাকির মতো,
মৈত্রীর শ্বাসে শ্বাস রেখে মৃত্যুকে আলিঙ্গন করে নিতে ও থাকবে না কোন দ্বিধা দ্বন্দ।