তোমাকে ভালোবাসা করেছি দান,
বিনিময়ে নিয়েছি সামান্য;
চাইনি তো সিন্ধু,বিন্ধু দিয়ে কিনেছি বসন্ত।
তুমিও কিন্তু কম যাওনি,
আমার হৃদয় খুঁড়ে বের করেছো মুক্ত আকাশ।
আমি দেখেছি তোমার চোখের সীমান্ত,
যেখানে আটকে ছিলো প্রেমের নয়শতো নয়টা কাব্য;
সেগুলো সব তোমার রচিত!
যেন তোমার অঙ্গ রাজ্যগুলো এক হয়ে লিখেছিলো।
এক শতাব্দী পরেও,
যার কথামালা ছিলো নন্দিত।
তোমাকে ছুঁয়েছি তারও আগে,
সেই কবে তোমার ভালোবাসা বিঁধেছিল হৃদয়ে
আমার মনে পড়ে না!
যখন প্রেমিকা ছিলে তখন কাছে তেমন একটা আসতে না,
তোমার লজ্জা ছিলো বহমান মেঘের মতো!
যেখানে আমার স্পর্শ গুলো বাষ্পের মতো জমা হতো।
তোমার নিজস্ব বায়ুমন্ডলেও আমার অনেক স্মৃতি!
যেমন ধরো যখন অনেক আকুতি মিনতি করে তোমার হাতে হাত রাখতাম,
তখন আবহাওয়ার পূর্বাভাস হতো অনাবরত বৃষ্টি!
তোমার হৃদয়ে তখন বর্ষার মৌসুম।
সে জলে ভাসিনি বহুকাল!
যৌবনকালে হাতে গুনা কয়েকবার ভিজেছিলুম,
তারপর কতো শ্রাবণ এলো,
কিন্তু সে জল আর পেলাম না খুজে!
তবু আজো আমার গায়ে প্রেমের গন্ধ,
ফাগুনের দক্ষিণ হাওয়া,শুকনো পাতার শব্দ।
আজো দিনের শেষে লাল মোমবাতিটা নিভে গেলে লক্ষকোটি আলোকবর্ষ জাগে,
শুধু জাগো না তুমি!
যদি প্রজাপতির মতো উড়ে আসতে আমার জাগ্রত দিবালকে,
তাহলে ক্ষণিকের তরে এক হতাম দুজনে।