অনেকদিন পরে মেমসাহেবের এর সাথে দেখা হলো,
ওর চুলগুলো আগের মতোই আছে,কোঁকড়ানো।
মেমসাহেবের চোখের নীল জলগুলো,
আজ আর যখন-তখন বেরিয়ে আসেনা বাইরে।
পৃথিবীর মত মেমসাহেবও বদলে গেছে,
এখন সন্ধ্যার পরে আর আকাশ দেখতে আসে না!
জীবন অনেক পাল্টে দিয়েছে তারে,
দেখা হলেই অপরিচিতর মতো চলে যায় দূরে।
জানিনা কোন আলেয়া, আমার থেকে আড়াল করেছে তাকে!
হয়তো ধ্বংসস্তুপে চাপা পড়েছে, মেমসাহেবের প্রজাপতির মত উড়ন্ত ডানাগুলো!
সাদা অপ্সরীর মত হঠাৎ দেখা মিলেছিলো যার!
সেদিন অবাক মুগ্ধতা ছিলো তার রূপে,
যার ছোঁয়ায় প্রবাহমান বসন্ত জেগেছিলো আমার বুকে।
ধুমকেতু দেখেছো কখনো?
আমার জীবনে মেমসাহেব ছিলো তাই।
দুজনের শহরটা ছিলো এক,
একসময় সেখানে দেখা মিলতো তাজা দুটো গোলাপের।
ভালোবাসার শুরু হয়েছিলো জোনাকির মতো জ্বলজ্বলে একটা আলোতে।
সবাই জানে ভিতরের উৎসবটা দেখা যায় না!
কিন্তু সেদিন মেমসাহেবের চোখে আমি যে উৎসব দেখেছিলাম,
তার বিশালতা ভোলার মতো না!
তখন দশ দিক জুড়ে শুধু মেমসাহেবের ছায়া দেখতে পেয়েছিলাম!
যার মাঝে দাঁড়িয়ে আমি চিৎকার করে বলেছিলাম,
মেমসাহেব,তোমাকে অনেক ভালোবাসি!
সেদিন কল্পনার মতো করে হলেও মেমসাহেবের হাসিগুলো ধরতে চেয়েছিলাম।
যেমন করে পুকুরে শেওলা ধরে রেখেছে জল।
অসংখ্য বিন্দু বিন্দু প্রেম দিয়ে রাঙাতে চেয়েছিলাম সোনালি সময়গুলোকে,
লক্ষ শতাব্দীর ভালোবাসা দিয়ে মেমসাহেবকে এঁকেছিলাম আমার হৃদয়ে।