আমার ভীষণ ইচ্ছা করে মায়ের কাছে যেতে,
মা যে আমার অনেক দূরে,
ডাকলে কাছে আর আসে না রে!
সন্ধ্যা হলে আকাশ কোলে
তারায় তারায় হারায় দূরে।
মাগো তুমি কেমন করে
আমায় ছেড়ে বহুদূরে থাকো?
কান্না পেলে তোমার কোলে,
লুকাবো আবার,
আসো না ফিরে!
মাগো আমি একলা ঘরে,
তোমায় ছাড়া ঘুম আসে না!
বাইরে দলে দলে জোনাক জ্বলে,
আঁধার নেইতো কোথাও!
ঘরের কোণে ভাসছে আলোর ভেলা,
উপরে তোমার গন্ধ ভরা আকাশ
আমার সম্মুখে সোনালি অতীত!
হৃদয়ের গভীরে হঠাৎ একটা অনুভব!
যেন বাস্তবমুখী একটা কল্পনা,
খেলতে গিয়ে আঘাত পেয়ে কাঁদছি আমি,
তুমি হঠাৎ করে দৌড়ে এসে-শাড়ীর আঁচল ছিঁড়ে বলছো,
খোকা আমার কাছে একটু আয় না,
অনেক আদর করে দি তোকে।
তোমার কথা শুনে, চোখের জলগুলো সব মুছে,
আসছি তেড়েফুঁড়ে তোমার কাছে ছুটে।
টগবগিয়ে রক্ত আমার পড়ছে,
আর তোমার চোখ দুটো জলের সাগরে ভাসছে।
শৈশব আমার পড়ে না মনে,
মাকে আমার ভীষণ মনে পড়ে!
মা যে আমার দূরের তারা হয়ে আছে।
রক্ত জবায় উঠান গেছে ভরে
সকাল হতেই সেথায় যখন প্রজাপতি উড়ে,
তখন যেন হঠাৎ চোখের পাতার মাঝে
মাগো তোমার করুন সে মুখ হাসে।
বিলের ধারে যেমন করে কাঁশফুলেরা দোলে,
রোজ তেমনি করে মাকে মনে পড়ে।
ইচ্ছে করে শক্ত করে জড়িয়ে ধরে বলি মাকে,
অভিমানে আর থেকোনা দূরে।