ধরেন কাল আপনার জন্মদিন,
বিশাল বড়ো এক উৎসবের আয়োজন করেছেন বাড়িতে।
হঠাৎ নিমন্ত্রণ দিলেন আমাকে,
"অবশ্যই আসবেন কিন্তু"!
অনুরোধ সূচক বাক্য আপনার কন্ঠে।
আপনার নিমন্ত্রণ ফিরাতে পারিনি বলে,
তাড়াহুড়ো করে রওনা দিলাম যাত্রীবাহী ট্রেনে।
বন্ধুত্তের দাবি নিয়ে যাচ্ছি আপনার বাড়িতে।
ট্রেন থামলো স্টেশনে,
নেমেই দেখি,আমাকে অর্ভথনা দিতে আপনি দাঁড়িয়ে,
বললেন মুচকি হেসে,"শু-স্বাগতম,, আপনাকে নিতে আমার এই আগমন"।
ধন্যবাদ দিয়ে আপনাকে ছোট করবো না,
এই অধমকে নিতে আপনি আসবেন তা জানা ছিলো না!
জানা থাকলে কি করতেন?
একজন ফটোগ্রাফার সঙ্গে নিয়ে আসতাম,
যার ক্যেমেরায় বন্দী হতো এই অপরূপ দৃশ্য।
একটা অসম্ভব সুন্দর স্মৃতি জমা হতো হৃদয়ের এলব্যামে।
হয়েছে, হয়েছে! এবার চলুন তবে,
রাস্তা হতে রিকশা একটা ধরে,
হাওয়ার বেগে ছুটছি যেন,
থামবে অচিনপুরে।
অবশেষে মিনিট দশেক পরে,
পৌছলাম গিয়ে আপনার বাড়ির দ্বারে।
সূর্য গেল,সন্ধ্যা এলো,বাড়ি ভর্তি নিয়ন আলো,
আপনাকে সেই আলোর মাঝে দেখছি যেন,
"স্নিগ্ধ সুন্দর পরীর মতো"।
খোপায় দিয়েছেন বেলি ফুলের মালা।
যেন আপনার সৌন্দর্যে নিভে গেছে আজ আকাশের সব তারা।
মেঘের মাঝে ছড়িয়ে গেছে সুগন্ধি ভরা হাওয়া।
জন্মদিনের এই খুশিতে,
জোনাকিরা গান ধরেছে,নাচছে ফুলের দল!
প্রজাপতির পালের মতো ছুটছে তারা,
কেউবা আবার উইশ করতে হচ্ছে সারা।
বাড়ি ভর্তি পড়া পড়শি,
পুরুষ পরেছে পাঞ্জাবি, রমনীদের শাড়ি জামদানি।
উপহারের শতো সহস্র মেলার মাঝে ক্ষুদ্র আমি,
কেমন করে দেব আপনাকে একগুচ্ছ রজনী?
যদি ও রজনীগন্ধা আপনার বেশ পছন্দ!
তারপরে ও উপহারটা যে অতি নগন্য!
আপনার জন্য দামি কিছু আনতে পারিনি বলে,
অভিমান পুষে রাখবেন না মনে!
আপনার জীবনে শ্রাবণের গন্ধ পাইনি বলে,
বসন্ত এসে বলে গেছে,
"রূপকথার মতো সুন্দর হোক আপনার দিনগুলি"।