আজ খুব কান্না করছি। আমার প্রথম কবিতার বইয়ের ডেমো বের হয়েছে। শুক্রবার নিয়ে আসবো। প্রচ্ছদ অনেক সুন্দর হয়েছে। প্রকাশক বলল। আমার আব্বু প্রচ্ছদশিল্পী ছিলেন। নিজের ছেলের বউয়ের আঁকা প্রচ্ছদ দেখে নিশ্চয় অনেক খুশি হতেন। প্রতি বইমেলায় তাঁর অনেক প্রচ্ছদ বের হতো। প্রকাশকরা তাঁর একটা প্রচ্ছদ পাওয়ার জন্য, লাইন দিয়ে বসে থাকতো, জাতীয় গ্রন্থকেন্দ্রে। তাঁর একসময় সুসময় ছিল, আবার একসময় দুঃসময় গেছে। যখন মোবাইল ফোন দিয়ে বলতো, আমি আবদুর রোউফ সরকার বলছি। আমার বুকটা ফেটে যেত। আবার যখন আমার পাশের বিছানায় ক্যান্সারে কষ্টে আস্তে আস্তে শেষ হয়ে গেল, তখনো অনেক কান্না করেছি। আব্বু আমাকে অনেক ভালবাসত। আমি তাঁর অনেক আদরের প্রথম সন্তান। আমি ভেড়া পছন্দ করতাম, সে এজন্য ভেড়া কোরবানি দিত। আমার ভালবাসার মানুষগুলো আজ অনেকেই নেই। জঙ্গল খালা, বড় ফুপু, মেজবাবু, সেজ খালাম্মা, উল্কা আপু সহ অনেকে। এরাই আমার প্রথম বই দেখলে অনেক খুশি হতেন। আব্বু হয়তো সারা বাংলাদেশে মিষ্টি বিতরণ করে বেড়াতেন। তোমরা যারা একটু হলেও ভালবাসা বা সহ্য কর, ১৩ই ফেব্রুয়ারি যেদিন আমার আব্বুর ৬৮তম জন্মবার্ষিকী এবং আমার প্রথম বই "জীবনে হঠাৎ" কবিতার বইয়ের প্রকাশনা উৎসব বইমেলায় ঢু মারিয়া যাইও। সবাই ভাল থাকিও।
আলোচনাটি ৭৩২ বার পঠিত হয়েছে।
প্রকাশের সময়: ১২/১২/২০১৮, ১৭:২৮ মি: