যখন একরত্তি ছোট্ট ছিলাম
নারীদের দেখতাম রঙ্গীন
ক্যালাইডোস্কোপে,
হলুদ,দুধে আলতা,অন্ধকার,মেঘবর্ণ রমনীরা
ছুটে বেড়াচ্ছে মায়ার সংসারে,
কালো মেয়ে কোলে নেওয়ার জন্য হাত
বাড়ালে
কি অরুণস্পর্শী চিত্কার......
শৈশবের চৌকাঠে দাড়িয়ে শুধু
মেয়েদের বুক দেখতাম আপাঙ্গ নয়নে
তপোবনের শান্তির প্রদীপ
কদমফুলের লাবণ্য আর
নীলনদের শ্যামলিম পলিমাটি
দিয়ে গড়া আদুরে স্নেহাদ্র বক্ষাচল,
আদিম বৃষ্টিপানের শব্দে বিভোর হতাম....
তারুণ্যের বীজপত্রে শুধু তোমাদের চোখ
দেখতাম
একটা সভ্যতার শিরদাঁড়া,ময়ূর সিংহাসন,
চল্লিশ চক্র,পারস্যের গোলাপবিবি,
সতীর পোড়া সিঁদুর,বাঘনখ
রাজনীতি,রেশমি পথ,চৈনিক মুদ্রা....
কিভাবে ঢুকে যায় একতারা চোখের গর্তে!
আমি সেই আনন্দের গান আর অশ্রুলিপি
গুলি পড়তে চেষ্টা করতাম !.........
যৌবনের খরতাপে এখন শুধু তোমাদের
পদপ্রান্তে দৃষ্টিদান,
শ্বেতপাথরের মত হরিদ্রাভ চরণ,
দেখি কার পায়ে কতোটা লেগে আছে
জমাট বাঁধা নোনা রক্ত.....
রক্ত, রাজপথে পিষে দেওয়া অন্ধ যুবকের...
রক্ত, প্রতিবন্ধী ফড়িংএর কেটে ফেলা
ডানার....
পায়ের নীচে চাপা পড়ে মারা গেল
কতো নিরীহ তুলসীপাতা,কচি ঘাস....
হারিয়ে গেলো মাঘনিশীথে
কোকিলের গলার রেওয়াজ .....
পঙ্গু হয়ে গেলো সমুদ্রগামী
বন্ধু বাতাস.....