বৈশাখে একটা বকুল চারা লাগালাম
উঠোনের একফালি বন্ধ্যা রাঙ্গামাটিতে
নিদারুণ সৌরঝড়ে
গরম হাওয়ায়
মুখের কাছে রক্ত উঠে এসেছিল
তবু সে বেঁচে ছিল
অস্তিত্বের জন্য সংগ্রামী
মানসিকতায়.....



শ্রাবণের এক বিকেলে মেঘ
ঝেপে বৃষ্টি এলো
বুক পকেটে রাখা জন্মদিনের উপহার
সবুজ পাতা দিয়ে নিজেকে সাজিয়ে নিল
পুব আকাশে রামধনুর ইশারায়
বাড়িয়ে দিল দু'হাত
সৃস্টি সুখের উল্লাসে.....




সাজো সাজো আশ্বিন মাসে
সন্ধ্যাতারার কাছ থেকে
একটা টিপ ছিনিয়ে
পরে নিল ছোট কপালে
শিশির দিয়ে ধুয়ে নিল
যৌবনের উপবন
কাশফুলের সাথে কোমর
দুলিয়ে নেচে নিল
বন্ধু বাতাসের মনোরম সান্নিধ্যে.....



চাঁদের আলোয় এক
আবেগময় হৈমন্তীক রাত্রে
পানাপুকুরের নীরব জলে
নিজের ষোড়শী রূপ
মায়াভরা উত্তাল বুক
দেখে বকুল চমকে উঠল
সোনালী ডানার মৌবনির স্পর্শসুখে
বুঝল আমি সম্মোহিত
পরাগ ফাটিয়ে জানিয়ে দিল
আমি ঋতুমতী
লজ্জারাঙা ফুলের পাপড়িতে লিখল
স্নিগ্ধ প্রেমের গান......




মাঘী পূর্ণিমার এক স্পন্দনহীন মধ্যরাত্রে
সে একটা বৃক্ষশিশুর জন্ম দিল
ফুটফুটে,অবিকল মায়ের রূপ পেয়েছে
ছায়া দিয়ে,স্নেহ দিয়ে,বুকের রস দিয়ে,
কোলের কাছে শিকড় দিয়ে
তাকে আগলে রাখল
নিজের সব পোশাক খুলে
পরিয়ে দিল শীতার্ত
সন্তানের স্নেহগাত্রে.....




চৈত্র মাসের শেষ রাতে
আবিষ্কার করল
সব পাতা ঝরে গেছে
সব চুল পড়ে গেছে
মৃত্যুর নীল ছায়া  শাণিত কুঠার তলে
বেদনার ফুল ফুটেছে অশ্রুমূলে
একবর্ষজীবী জীবনে অনেক তো
পেলাম !
আমি মরে যাই
আমার ইচ্ছেসন্তান স্বপ্নে ভিজে থাক !!!!