কাল শেষ রাতে একটা
বিড়াল আমার বুকের কাছে এসে
চুপটি করে শুয়ে পড়েছিল!
তারপর তার সে কি কান্না!
গ্রহ থেকে গ্রহান্তরে
নীহারিকা থেকে নীহারিকায় প্রতিধ্বনিত
তার বুক মোচড়ানো কষ্ট
আমায় ভিজিয়ে দিচ্ছিল.......
মার্জার সোনা! মার্জার সোনা!
তোমার কী হয়েছে?
কে তোমায় বকেছে?
বুকে ব্যথা হচ্ছে ?
হিংস্র পশু তোমার গলা খুবলে নিয়েছে?
কোনো পুরুষ তোমার সম্ভ্রম লুটে নিয়েছে?
ভীষণ খিদে পেয়েছে?
সন্তান এর জন্য মন কেমন করছে?
না তার ভাষা আমি বুঝতে পারি নি
তার জন্য কিছুই করতে পারি নি....
কিছু দুঃখ আসে তুষারঝড়ের মতো
মৃত্যুর বার্তাবাহক হয়ে
ভেঙেচুরে শেষ করে দেয়
রুপকথার বাড়ি জলের তোড়ে ভেসে যায়
একের পর এক সবুজ গ্রাম
মড়কে শ্মশান হয়ে যায়
চোরাগোপ্তা হানাদারি আক্রমণে
শালগ্রাম শিলা শহিদ হয়
দাবানলে পাখির সোনালি পালক পুড়ে যায়
ময়ূর সিংহাসন উল্টে যায়.......
কিছু দুঃখ সাদা কালো নির্বাক চলচিত্র
কিছু গোপন ব্যথা দুর্বোধ্য চাইনিজ
কিছু বোবাকান্না আজীবন শব্দহীন করে দেয়
কেউ শুনতে পায় না
কাউকে বোঝানো যায় না
নিজেকেও না
কেউ প্রতিকার করতে পারে না
তবু আমরা খুঁজে যাই একটা মসৃণ হাত
ক্ষতবিক্ষত মাথার উপর
পচাগলা মমির স্তনে
ভালোবাসার পরশপাথর খুঁজে ফিরি
শেষবারের মতো ভিজে নিতে চাই
স্বায়ংকালের নীলাভ বৃষ্টিতে......