হে ঈশ্বর !
তোমার কাছে একটা কবিতা ভিক্ষা চাইছি!
যে কবিতা লেখা হবে হৃদয়ের মধু--অক্ষরে
যে কবিতায় কোনো ছন্দ থাকবে না
লালিত্যময় ভাষা থাকবে না
ভালোবাসা থাকবে না
ফুলের সুগন্ধ থাকবে না
হ্রদের উপর চাঁদের আলো ঠিকরাবে না
যে কোনোদিন সূর্যের মুখ দেখবে না
দেখলে পুড়ে ছাই হয়ে যাবে
যার জীবন এবং মৃত্যু উভয়েই
একটা অন্ধকার ঘরে.....
যে কবিতার প্রতিটি ছত্রে আছড়ে পড়বে
নীল যমুনার স্নিগ্ধতা ...
যার প্রতিটি স্তবক থেকে ভেসে আসবে
আমার সাত বছর আগে মৃত
বোনের ভাঙা চূড়ির আকুলতা .....
কবিতা হবে আমার গোধূলিরঙের
ব্যার্থ জীবনের তৈলচিত্র
যুগান্তরব্যাপী যন্ত্রণার
ঐতিহাসিক স্মারক......
কবিতার পাতা স্যাঁতসেতে হবে
আমার সপ্নিল অশ্রুতে
যার প্রতিটি স্বরবর্ণ দয়ালু আঁচল
পেতে দাড়িয়ে থাকবে দুয়ারে
লুকিয়ে রাখবে ভাঙা ওষুধের শিশি ....
প্রতিটি ব্যাঞ্জনবর্ণে ঠাসা থাকবে
গুলি--বারুদ--আত্মঘাতি বোমা
অভিমানে বুক ভারী হলে
সশব্দ বিস্ফোরণে ফেটে পড়বে.....