সূর্যের সম্মুখে কোনদিন অবগুণ্ঠন
খুলে বেরিও না,চন্দ্রিমা
যদি সূর্যের লোলুপ রাঙা রশ্মি
কুন্তীর মতো তোমারও কর্ণমুলে
ঢুকে গর্ভবতী করে যায়
আমি তাহলে কোমায় চলে যাবো ......
পরপুরুষের দিকে কোনদিন
তাকিও না,চন্দ্রিমা
কন্দর্পকান্তি গন্ধর্বদের নাম
বুকের মঝে উল্কি দিয়ে লেখো না
নাহলে আমি হাতকাটা
অন্ধ ভিক্ষুক হয়ে যাবো
নিজেই নিজের চোখ উপড়ে ফেলবো ......
স্লিভলেস খোলা পিঠে
কোনদিন বাগানে বেরিও না,চন্দ্রিমা
যদি যুবক প্রজাপতির কামাতুর হয়ে
তোমার উন্মুক্ত পিঠে ঝাঁপিয়ে পড়ে,
আমার হাত তাহলে হবে
পতঙ্গদের বধ্যভূমি........
বৃষ্টির নিচে,উষ্ণ ঝর্ণার তলে
কোনদিন ভিজো না,চন্দ্রিমা
যদি তোমার ঠোঁটের মধু
জলের তোড়ে ভেসে যায়
মাতাল মৌমাছিরা তোমার
স্তনের পরাগ লুটে নিয়ে যায়
আমি তাহলে কি পাবো বলো...
তুমি কোনদিন পাখির বন্ধু হয়ো না
পালকের স্মৃতি রেখো না
যদি তোমারও আমার বিষন্ন
আকাশ থেকে উড়ে যেতে ইচ্ছে করে
অন্য সপ্নীল আকাশে,
আমার জীবনে তাহলে
কোনদিন শুক্লপক্ষ আসবে না.....
তুমি কোনদিন বাতাসের কাছে
গান শুনতে চেয়ো না
আমি তোমাকে বাঁশি কিনে দেবো
করবী ফুল দেবো
বিল্বপত্র দেবো
নৈবেদ্য দেবো
আশ্রয় দেবো বুকের পাহাড়ে
স্নিগ্ধতা দেবো অগ্নিভ আধারে,
অশ্রুজলে.......!