শীতের মাঝে এক পশলা বৃষ্টি
কবির কবিতার জন্য কিছু ছন্দ করছে সৃষ্টি
কাঁপা কাঁপা কন্ঠে কবি বসে ভাবছে
গরিব মানুষেরা আজ কে কি করছে
তাদের ঘরে কি আজ হয়েছে রান্না.
নাকি খাবারের আশায় কারো কাছে ধরেছে ধর্না
শীত যে এসেছে দেশে রূপের রাণী হয়ে
আজ ভোর বিহানে
সুখের ক্ষণে সবার মনে হিম পবনে
তাই তো কবির মনে আজ অনেক ভাবনা
বসে বসে কবি তাই করছে কল্পনা
শীতের দিনে সবার সাথে এসেছিল যে ছেলেটি উদোম গায়ে
দাঁড়িয়ে ছিলো পথের বাঁকে
সে ছেলে কি পেয়েছে জামা এসে সবার দ্বারে
রহিমার মা আজ দিশে হারা হয়ে গিয়েছিল পবনদের বাসায় কিছু খাবারের আশায়
মস্ত বড়লোক পবনরা তবু দেয়নি একমুঠো খাবার তারা
তাই তো খাবারের আশায় রহিমার মা আজ কান্নায় বুক ভাসায়
হঠাৎ কবির চোখে এলো জল করছে চোখ ছলছল
আবার কবি ভাবে বসে জানালার পাশে
মাঠে মাঠে কৃষকেরা ধান কেটে পায় খুজে সুখ পিঠাপুলি খাবে তাই আজ তাদের উজ্জল মুখ
রাখালেরা বাঁশি নিয়ে সুর তুলে গায়
চারদিকে মাঠগুলো ধানে ছেয়ে যায়
চারদিকে শুধু শীত আর শীত
তাই তো গ্রামের নারীরা ধরেছে গীত
ঢেঁকি ছাঁটা ধান , ঘরে মেয়েরা ধরেছে গান
তাই তো কবির ছন্দে কুয়াশা মাখে,,
শিশির ভেজা ঘাসে , কবির ছন্দ বদ্ধ ঘরে
এ যেন শীতের পৌষ মাসে ।