বহুদিন হয়ে গেলো আয়নায় নিজের চেহারাটা ঠিকঠাক মতো দেখা হয়নি ,
চুল গুলো উষ্কখুষ্ক,  বাতাসে যেন উড়ছে
ঠোঁটে লিপস্টিক  টাও অনেক দিন  দেওয়া হয়নি ,
বহুকাল কপালে নীল টিপ পরা হয়নি,
টিপ টাও পরে আছে অবহেলায়
দুচোখে আজ আর কাজলের রং নেই;
সেটাও আজ মিশে গেছে চোখের জলে ।
একটা সময় সাঁজতাম যখন নিজের মত
সবাই তখন বলতো কালো মেয়েকে কি আর এসব সাজে মানায়?
কত রাত কেঁদেছি , কেউ দেখেনি চোখের জল ।

চারদিকে  সাজসজ্জা, উৎসব,আনন্দে মেতে আছে
মন বলছে মেতে উঠি আমিও আজ সবার সাথে
সেদিন সেঁজেছিলাম আমিও
লাল আলতা , নীল টিপ , নীল শাড়ি আর লাল লিপস্টিক
ঘর থেকে বেরিয়ে আসতেই শুনতে পেলাম
কালো মেয়েদের কি আর এসব মানায় ।
সেদিন থেকে  আর সাঁজিনি
সবার ভীড়ে নিজেকে মানিয়ে নেওয়া একদম শিখিনি;
তাই যতটা পারি নিজেকে আড়ালে রাখি ,
এ নিয়েও সবার কাছে আমি অনেক কথা শুনি
প্রতিবাদ করতে পারিনি কারন আমি যে কালো মেয়ে ।
আমার জন্য শুনতে হয় মাকে অনেক কথা
আমার জন্য আমার মাও পাচ্ছে অনেক ব্যথা ।
এসব দেখলে আমার খুব কষ্ট হয়
কালো মেয়েদের নাকি সব কিছু সয়ে নিতে হয়
খুব কেঁদেছিলাম দরজা বন্ধ করে
ভেবেছিলাম যাবো এবার মরে
কিন্তু সেই সাহস বিধাতা বোধহয় কালো মেয়েদের দেয়নি।
নিরুপায় আমি,নিরুপায় বোধহয় পৃথিবীর সব কালো মেয়েই ।
রাতের ঘুটঘুটে অন্ধকারে আকাশের দিকে তাকালাম
বিধাতা আমাদের মাঝে কোনো হাসিখুশি দেয়নি
দেয়নি কোনো ক্ষমতা,
কালো মেয়েদের সব অধিকার তিনি তার কাছেই রেখে দিলেন,
আর কালো মেয়েদের দিলেন একটা দীর্ঘশ্বাস ।




অর্পিতা ঐশ্বর্য