অরণ্যের মতো বৃষ্টির শব্দে আমি ডুবে যাই একা
গভীর ঘুমের প্রশান্তিমাখা চোঁখে
হঠাৎ বেজে ওঠে নুপুরের ছন্দ
আমি বারান্দায় বসে বাড়িয়ে দেই দুটি হাত
যেন এক নিঃসীম আত্নসমর্পণ
বৃষ্টি ছুয়ে যায় আমার বাহু
সমস্ত শরীর ছেনে গড়িয়ে পড়ে একমুঠো স্নেহের স্পর্শ
যেন এক অপার্থিব শিহরণে
প্রলম্বিত তিরতির কাঁপা ভোর
যেন শিশিরস্নাত বদ্ধ তোমার দোর
আমার দুটি আঁখি স্বপ্নিল আবেশে ম্যুহমান......
হঠাৎ চিৎকার করে উঠি........
না না না... ছেড়ে দাও! ছেড়ে দাও!
এমন মোহবন্ধন আমি চাই না!
সকালের ভেজা তোয়ালেতে মুছে ফেলি সমস্ত হৃদয়
শুকনো বুকের বাঁ-পাশে হাত রেখে খুলে ফেলি দরজা
রাস্তায়
ওপাশের ফুটপাথে একজন দার্শনিক
তাকে ঘিরে কিছু অমনোযোগী যুবক!
আমি একছুটে পেরিয়ে যাই কয়েক শতাব্দী...
"কোথায়? বল, কোথায় পাব তাকে?"
বৃদ্ধ দার্শনিক বললেনঃ স্বপ্নহীন ঘুম বা জাগরণে
আমি হাত তালি দিয়ে উঠি...
" প্রতারক! প্রতারক !
সে তো মৃত্যু!
মৃত্যুময় মুক্তিতো মুক্তি নয়!"
ভগ্ন হৃদয়ে এগিয়ে চলি সামনে
রাস্তার পাশে একটি সরায়
দু'জন নিরিহ কবির মাঝে চলছে প্রচন্ড লড়াই
ক্ষত বেয়ে গড়িয়ে পড়ছে নীল রং রক্ত!
আমায় দেখে তারা বিকট শব্দে হেসে উঠলেন
বললেনঃ মুক্তি চাও? তবে লড়!
সেই থেকে আমি হলাম কবি-র শিষ্য
আর প্রথমত কবিতার প্রেমিক!
ছাতনী, বগুড়া
১৪ সেপ্টেম্বর, ২০০৮