কাচের ওটি আয়না, ওপাশে সিন্থেটিক বিকেল, আর এপাশে তুমি ভাবছ নিজেকে বিষণ্ণ। এই ভেবে তুমি একটি একান্ত ব্যক্তিগত মিশ্রণের ককটেল গ্লাস হাতে তুলে নাও। পরনের কাপড়ও তোমার কাছে বাড়তি মনে হয়, অতিরিক্ত লাগে নিপাট বিছানা আর তার ওপরের চাদরের গোছগাছকেও। তুমি চিলেকোঠার ঘর অবধি যাও, আর যাও না। ছাদের বন্ধ দরজা খোলার উদ্যোগ নাও না, কারণ এবারের আলসেমিতে তোমার ভাগ্যে দরজার এপাশ। ধূলোময় চুলে হাত নেড়ে জট ছাড়াতে চাও, চুলের মাঝামাঝি এসে আর জট ছাড়াতে চাও না, হাত নামিয়ে ফেলো, কেননা তুমি ভাবো স্নান তো হবেই। এরপরে স্নানের উদ্যোগ নিতে তোমার আরও বিলম্ব হয়, কারণ তোমার ভেতরের এক্সেলেটর বিকল এবং তুমি সেই বিকল সিঁড়ির মাঝখানেই দাঁড়ানো। তুমি নিচে নামা কিংবা উপরে ওঠার জন্য পা ফেলো না, কেননা তোমার ধারণা এক্সেলেটর আপনাআপনিই ঠিক হয়ে যাবে।
সন্ধ্যার আগমনকে তুমি স্বীকার করতে চাও না তাই কাচের ওপর পর্দা ফেলে জ্বেলে দাও সবগুলো আলো। আলোতে তুমি অসহায়, কিন্তু নেভানোর কথাও তুমি দ্বিতীয়বার ভাবো না।
তুমি হয়ে গেছ ঘরের অন্যান্য থিতু হয়ে যাওয়া কাঠের আসবাবের মতোই। জীবিত ছারপোকার ভয় ছাড়া অন্য কোন শঙ্কা ধর্তব্যের ভেতর পড়ে না।