দেখা গেছে, আসলে দেখা যায় নি।
উপস্থিতি বোঝা গিয়েছিল শুধু
তারপরে এক মিনিট আগে, দুই মিনিট আগে
চার ঘণ্টা আগে, পাঁচ ঘণ্টা আগে।
স্ক্রিনের তাচ্ছিল্য
ফেরত আমিও দেব ভাবি।
একদিন বলেছিল, আসলে বলে নি
শর্টকাটে লিখেছিল শুধু
টি সি, যাকে বলে টেক কেয়ার।
যত্ন নাও, কিংবা যত্ন নিও।
কিসের এতো যত্ন চাই -
আমিও বুঝি না। সেও ভুলে যায়।
শুধু অর্ধবৃত্তের বলয়।
একদিন সবুজ বাতি
সক্রিয় হই দুজনে। অথচ দুই দিকে।
যেন ট্রাফিকের সবুজ সংকেত।
দুইটি যান ভিন্ন ভিন্ন পিচরাস্তায়
আলাদা সতর্কতায়, আলাদা গতিতে।
কারও স্ক্রীনে কেউ স্বার্থপর
যে স্বার্থপর, ভিন্ন পর্দায় আবার সে-ই প্রধান
স্মাইলি, লাল হলুদ বেগুনী।
মানুষগুলো শতশত স্ক্রীনে ভাগ হয়ে যাচ্ছে
ভার্চুয়াল দুনিয়ার জনসংখ্যা অসীম
ইমেজসংখ্যা অসীম।
যাকে শেয দেখা গেছে একবার,
আবারও শেষ দেখা যাবে বহুবার।
এখানে মৃত্যু নেই, আত্মহত্যা আছে।
নীল হলো স্বাভাবিক পোষাক
আর যে মরে যায় স্বেচ্ছায়,
বরাদ্দ আছে কালোকাঠ কফিন।