যে পথে কালো পিচের মতো সন্ধ্যা ধেয়ে ধেয়ে আসে, তার কাছে বন্ধক রেখেছি সমস্ত গোপন বাসনা, ইদানিংকালে বাড়তি নিদ্রাটুকুও। ফলশ্রুতিতে, হয়ে উঠেছি সবুজ মাঠের মাঝখানের সাদামাটা অথচ দৃঢ় এক রহস্যহীন গাছ। বৃক্ষসমাজেও ড্রাকুলার প্রজাতি আছে, দিনের বেলা কফিনের বন্দোবস্ত করতে না পেরে যারা পরে নেয় পাতার মুখোশ।
আর এই বহুবর্ষজীবীর হাওয়া যার গায়ে লাগে, সে-ই হয়ে ওঠে উদ্যানের নিয়মিত বিশ্রামগ্রহীতা। শ্বদন্তের জাদুঘরে প্রকৃতপক্ষে দেখার কিছুই নেই। যেকোনো পরিক্রমা শেষ হলে, বর্তমান দাঁড়িয়ে থাকে নাকের ডগায়।
উল্লেখযোগ্য আরও আরও প্রজাতি নিয়েই এখন আমার বসতি।
প্রোথিত শিকড়ের ঝাঁঝলো গন্ধ আর উর্বরতার পরীক্ষা হয়ে যাক।