হঠাৎ একদিন কফির আড্ডায়
বন্ধুদের সামনে কথাচ্ছলেই বললে,
অপরাজিতা, বলো দেখি কেমন ছেলে চাই তোমার?
তোমার ভালোবাসার স্কেলের
পারদ ঠিক কতটা উঁচু?
উত্তরে আমি হেসে বলেছিলাম,
ভালোবাসা অনুভূতি বৈ জ্বর তো নয়
যে থার্মোমিটারে মাপবো!!
কথার পিঠে কথা সাজিয়েই আবার প্রশ্ন
"তাহলে বলো,
তোমার ভালোবাসা পেতে কি করতে হবে?"
শুনেই কিছুটা হকচকিয়ে গেলাম।
আমায় দেখে সব বন্ধুরাও একটু নড়েচড়ে বসলো।
আমি খানিকক্ষণ চুপ থেকে বললাম
"আমার খুব সাধারন কাউকে চাই।
আমি এমন কাউকে চাই যার
আমার এলোচুল,
ফ্যাকাসে চেহাড়া
কিংবা ভাজপড়া জামা,
খুব একটা মাথাব্যাথার কারন হবে না।
আমার চোখের নিচের জমাট কালি
কিংবা পাতলা সিঁথি,
আমার এবারো থেবড়ো গাল
যার কপালে ভাজের কারন হবেনা।
যে তার হাজার ব্যস্ততায় ও
আমায় ভুলে যাবে না।
সারাদিনের ধকল শেষে
যখন ব্যতিব্যস্ত হয়ে তার সামনে যাবো
সে যেনো বলে না ওঠে
একটু সেজে আসলেই পারতে!
আমার এমন কাউকে চাই
যার কাছে আমার শব্দের স্বাধীনতা থাকবে
এমন কেউ
যে প্রতিমুহূর্তে আমাকে কাঠগড়ায় দাড় করাবে না।
আমার সত্যি খুব সাধারন কাউকে চাই।
আমি খুব করে চাই
কেউ আমায় ভালোবাসুক।
আমার হাত ধরে
বসে থাকা ঘন্টার পর ঘন্টা
কিংবা কাধের ঠিক পেছনটায় হাত দিয়ে
জড়িয়ে ধরায়
নয়তো কাধে মাথা রেখে বসে থাকায়
যেন কেউ তার ভালোবাসা খুজে পায়।
আমি চাই
আমাকে ভালোবেসে
যেন তার পৃথিবী দিগবিদ্বিক হয়।
সে যেন শূন্য হয়ে
আমাকে পেয়েই পূর্ণ হয়।
আমি স্বার্থপরই বৈকি!
আমার ভালোবাসাও বেজায় স্বার্থপর।
তাকিয়ে দেখি চারপাশে সবার মুখেই
মিটিমিটি হাসি!
তাই আমি শেষমেশ হেসে উঠেই বললাম
"আমার ওই একই চাওয়া
আমি খুব সাধারন কাউকে চাই।"