অনেক বছর আগে যখন বন্ধুদের মুখে
প্রথম তোমার কথা শুনি,
তখন মনে মনে ভেবেই নিয়েছিলাম,
এই ছেলে নিশ্চয়ই মহাপাগল।

তারকিছুদিন পর যখন হঠাৎই
ক্লাসের বাইরে তোমাকে প্রথম দেখি
খাতা কলম ছাড়াই,
ঘুম চোখে ক্লাসের অপেক্ষায়
তখন মনে হলো তুমি এক সদ্য পার হওয়া কিশোর
যে অন্যসবার চেয়ে কোথায় যেন আলাদা।

এভাবেই কখনো সকালের বাসে নোট হাতে,
নয়তো বিকেলে টং এ সিগারেট হাতে,
কখনোর শীতের মাঝে ওই পুরোনো চাদর গায়ে
কখনো আবার কোনো অনুষ্ঠানে
পাঞ্জাবী গায়ে মাইক হাতে উপস্থাপকের বেশে
আমি শুধু তোমাকে দেখেই যেতাম।

তখন অবশ্য আমি অন্য বাঁধনে আটকা পড়া মানুষ
অন্যের বুকে সুখ খুজতে ব্যস্ত আমি
তাই এর বেশি আর ভাবতে চাইনি।
একপুরুষের বুকে শুয়ে অন্য পুরুষ নিয়ে
ভাবার পাপে পাপী হতে চাই নি।

এরপর আরো চারটি বছরে
আরো বার কয়েক দেখায় ও
কখনও নিজ থেকে কথা বলতে যাইনি।
মনে হতো আমরা দুজন ভীষন ভাবে
আলাদারকম মানুষ।

হঠাৎই একসন্ধ্যায় মনের ভুলেই দুজনের পথ
এক হয়ে গেল।
ভালোবাসাহীনতায়, প্রচন্ড অন্ধকারে
আমি তোমার কাঁধেই আশ্রয় খুজে নিলাম।
সেই পুরোনো অনুভূতি ধরন পাল্টে
এক নাম না জানা
অনুভূতির জন্ম নিলো।

সামনাসামনি দেখা নেই,
পাশাপাশি বসা নেই,
চোখে চোখে কথা নেই,
শুধু আছে ফোনের এপাশটায়
হাজার শব্দে ব্যাখ্যার অতীত ভালেবাসা।

যদিও বা একপাক্ষিক
তাতে কি?

কত রাতে কত হাজার মূহুর্ত
তোমার গলা শুনে কাটিয়েছি।
ভালো লাগা ভালোবাসা হতে হতে
শেষ পর্যন্ত ঘৃণায় ও পরিনত হয়ে গেছে।
তবু
তবু  তুমি জানলে না।
জানলে না
কি ভীষন ভালোবাসতো তোমায়
ফোনের ওপাশের মানুষটা।
তুমি কান্নায় ব্যস্ত, অতীত স্মৃতিতে আসক্ত।

এদিকে প্রতিটা মুহুর্তে
অতীতের কথা শুনতে শুনতে
নিজে প্রশ্নবিদ্ধ হয়ে ভাবলাম
অতীত কি তবে
বর্তমান কেও অতিক্রম করতে পারে???