"জানিস তো,
ও আজকাল আমায় আর ভালোবাসেনা।"
শুনেই চা মুখে আমি
অপরাজিতার দিকে চেয়ে রইলাম।
ভাবছি কি বলছে এসব আবোল তাবোল!
দাদা কি তবে বাইরে মজেছে?
ও হেসে বললো,
"নারে ও বিশ্বাস নষ্ট করেনি।
শুধু বদলে গেছে।
কতকাল হলো হাতে হাত রাখেনা
পাশাপাশি হাটেনা
চোখে চোখ রেখে কথা বলেনা।
কতরাত হলো ঘুমুতে যাওয়ার সময়
কপালে চুমু খায় না।"
একটু থেমেই আবার বললো
"জানিস এখন আর সাদা পড়লে বলে না
তোমায় বেশ লাগছে অপা,
শুধু কপালে একটা টিপ পড়লেই
তোমায় সত্যজিৎ রায়ের নায়িকা মনে হতো।"
আজকাল আমার দিকে আর তাকায় না ও।
আবার বিরতি দিয়ে বললো,
খুব ব্যস্ত শিডিউল কিনা তার।
এই এতবড় শহর টায় দালানকোঠার ভিড়ে
আমার আমার জন্য কোনো মানুষ নেই।
সারাদিন ওই এক রান্নাঘর আর ব্যালকনি।
থাকার মাঝে আছে শুধু ওই কটা বই আর গাছ।
অথচ দেখ,
বিয়ের আগে আমার একটা মানুষ ছিলো
শুধুই আমার।
যার সকালে ঘুম ভাঙ্গা থেকে শুরু করে
ঘুমুতে যাওয়া অব্দি সবেতেই আমি ছিলাম।
প্রতিদিন দেখা হতো,
হাসি হতো,গান হতো।
একসাথে বাঁচা হতো।
আমাদের সবসময় সময় একসাথে থাকা হতো।
আর এখন বিয়ের পর,
আমাদের রাত্রিযাপন হলেও
একসাথে থাকাটা আর হয় না।
শূন্য দৃষ্টিতে সামনে তাকিয়ে আমি বললাম
এই শহরটায় কেউ কারোনা,
কেউ কাউকে ভালোবাসেনা,
কেউ কারো জন্য ভাবে না।
সবাই সুধু জীবন মৃত্যুর সংজ্ঞায় বেচে আছে।