*           পারভেজ শেখ    
      
পায়ের ক্লান্তি,সারা পথ অভিযোগ,
রইল না হয় পথেই পড়ে আজ...
ভেজা "বকুলের কান্না" রুধিবে জানি,
জল হবে যত মেঘ জমে থাকা সাজ।
শেষ বলে কিছু কোত্থাও নেই পড়ে ।
খমাও জোটে না বিগত দিনের ঋণে।
কথা তবু কিছু কিছুদিন পড়ে রয়।
বিহানের আলো নিশি ব্যথা নেয় কিনে।
           ____________

*           ফারহাত আহমেদ
      
ফাগুনের রঙ ফিকে হয়ে এল বুঝি?
রক্তকরবী নেশা ধরায় না চোখে?
হাসি টাও খুব তেতো মন নিয়ে খুঁজি।
তবুও তো সেই নতুন দেখায় ওকে!

আজও সেই চিঠি দেরাজেই আছে পড়ে।
হয়তো বা আর লেখাও হবে না কোনো!
মেঠো পথে যদি কিছুই না পাও কাছে,
দখিনা বাতাসে চেনা গন্ধ টা এনো।
    _________________
*       শরীফ এমদাদ হোসেন

শব্দেরা আর ছন্দে দেয় না ধরা।
রিক্ত পাতায় ছবিও ফোটে না মোটে।
ফল্গুর ধারা কোথায় বয় কে জানে!
এ পথে কুড়োই যেথায় যেটুক জোটে।

মধ্য রজনী তমসায় ঢাকা জানি।
দারুণ চমক তাহাতে কিছুই নেই।
দক্ষিণ-বাম নিয়ে চলে টানাটানি।
হোলুদ ফুলের হয়তো গন্ধ এই...

সেই ভালো,সব জেনে শুনে তুমি এসো।
নইলে আগামী অযথাই মুখ ভার।
কখনো আবার পারলে ভালো টা বেসো।
বিরহের শুধু কবিতায় দরকার।
        _____________


(আসরের বিশিষ্ট তিন কবি কে আমার তুচ্ছ যোগ্যতায় সামান্য শ্রদ্ধার্ঘ্য।দু জনের নামের ক্ষেত্রে 'কবি' আনতে হয়েছে লেখা টা কে গুটিয়ে আনার জন্য।কয়েক টা শব্দ পাল্টাতে গিয়ে বিকৃত হয়ে গেছে,যার জন্য ক্ষমা চেয়ে নিচ্ছি।
এরকমই একটি অ্যাক্রোস্টিক শ্রদ্ধেয় কবি মার্শাল ইফতেখার আহমেদ মহাশয় কে নিয়েও লিখেছিলাম যা বর্তমানে আমার ফোন থেকে সমস্ত পুরনো লেখা মুছে যাওয়ায় হারিয়ে গেছে।সেটা দিতে পারলে ভালো লাগত।)