আকাশে তখনো আষাঢ়ের উঁকিঝুঁকি।
ইতিউতি মেঘে বৃষ্টি সম্ভাবনা।
কনে দেখা রঙ আলগোছে তুলে রেখে,
গোধূলি অঙ্গে ধূসরের আল্পনা।
বাতাসে তখনো আগমনী সুরধুনি,
বয়ে চলেনি তো সহজিয়া অনুরাগে।
তখনো কবির কলমে গভীর ব্যথা,
ধরা দেয়নি তো সান্ধ্য ইমন রাগে।
তখনি হঠাৎ এলোচুল খোলা ছাদে,
আনমনে তুমি গীতবিতানের মতো।
মেঘমল্লার বক্ষের শিরে শিরে,
উদ্ধত মন ক্ষণিকেই পদানত।
তখনো বলাকা কালো মেঘ পিছে ফেলে,
ফিরে চলেনি তো পরিচিত ঘর পানে।
তখনো মাধবী আপন গন্ধ ঢেলে,
ধরা দেয়নি তো রবি ঠাকুরের গানে।
তখনো চোখের রঙ হয়নি তো রাঙা।
তখনো দেউটি হয়নি তো নিভু নিভু।
তখনো জগত জুড়ে নীরবতা ভাঙা,
আজান শেষের শঙ্খধ্বনিটি শুধু।
তাই কি আষাঢ় বার বার আসে ফিরে
কৃষ্ণচূড়ার ক্লান্ত প্রতীক্ষায়।
তাই বুঝি এই গলিতেই ঘুরে ফিরে
কারুর ভুবন লুপ্ত হতেই চায়...