আজও আছে ঘর একা পড়ে সেই,
সেদিনও যেমন ছিল।
ব্যর্থ প্রশ্ন ইথারেই ভাসে-
দেখা কেন হয়ে ছিল?
ভাঙন যখন নিয়তি পথের,
পাশাপাশি হাঁটা গর্ভ ক্ষতের।
চুকিয়ে পাওনা তীব্র স্রোতের,
মোহনা উচ্চারিল-
দিকের অন্ত দিগন্তে যদি
দেখা কেন হয়েছিল?
পাশাপাশি যেন যুগ-যুগান্ত
প্রতিবেশি হয়ে থাকা।
আব্দার নেই,নেই কোনো দাবি,
অন্তর্লীন সখা।
নিয়তি তারার নিভে ঝরে যাওয়া,
চিরায়ত পরিণতি।
সময় জানান দেয়নি সময়,
কী কার হল যে ক্ষতি!
একাকী সে তারা সুযোগই পেল না
শুধাতে আরেক জনে,
হাহাকার শুধু অনন্তে কাঁপে
অনাদির প্রতি কোণে-
চলে যাবে যদি,তাই চলে যেতে,
বলে গেলেই তো হতো।
তুমিও তো জানো কোনো কিছুতেই
শুকোবার নয় ক্ষত।
তবু শেষ দেখা,শেষ কথা টুকু
রয়ে যেত হিয়া মাঝে।
আবার কখনো ফুটে ওঠা হত
পাশাপাশি কোনো সাঁঝে।
_____________________
(সম্ভব হলে হেড ফোনে শুনে দেখার অনুরোধ রইল।দেড় মিনিট এর মত লাগবে।কেউ কখনও অবসর সময় পেলে শুনে দেখবেন)