জীবনের সন্ধিক্ষণে থাকি,
মনের কোণে একটু আশা রাখি।
অমনীষার লগ্ন পেরবেই খানিক বাদে,
জীবন যেন তবুও হাজার ফাদ ফাঁদে।
সূর্যোদয়ের অপেক্ষা আর কত!
সহস্র বছরেও কাটেনি এ ক্ষত
হঠাৎ আচমকায় সূর্যগ্রহণে
জীবনের মানে কী মৃত্যুবরণে?
জ্ঞাত ছিল চাঁদের নেই আলো,
কি এক পূর্ণিমা আমায় ঝলসালো।
সূর্য মারিয়ে চাঁদ করেছি অবলোকন,
জীবনের মানে করেছি সংক্ষেপণ।
প্রভাতী তো দেয়নি আর সারা,
বাসুধা রেখে দেখেছি দূরের তারা।
কামনায় এসেছে আত্মহত্যা,
চূর্ণ বিচূর্ণ হয়েছে মানবসত্তা।
ইহলোক গেলো সঙ্কিত-সন্তর্পনে,
কী জবাব দিবো পুনরুত্থানে?
মুনকির নাকির তো ডাকবে কবরে,
কী জবাব দিবো তাকে সাদরে?
পরকাল তো থাকছেই পরে,
এজীবন কেন গেলো হেয়ো করে?
কবে হবে আত্মার শান্তি?
বয়ে বেড়াতে হবে রূহের ক্লান্তি।
দোযখ বেহেস্তো না ভাবিয়া,
গলায় ওড়না দিলাম ফাসিয়া।
নিমিষেই কেটে গেল সব আঁধার,
শয়তান কেড়েছে অধিকার বাঁচার।