অনুরাগের রং মেখে,
কেউ রোমাঞ্চিত,
নিজের প্রাপ্য অধিকারে
কেউবা বঞ্চিত।

কারো চোখ অশ্রুশিক্ত-
ব্যাথা ভরা বুকে,
কেউ আবার গাইছে গান
অবারিত সুখে।

কেউ আবার অন্ধকারে
খোঁজে আলোর দিশা,
আলোর দেশে থেকে কেউ
হারায় অমানিশা।

স্বপ্ন দেখে কেউ আবার
নতুন করে জাগে,
জাগার আগে কেউ আছে-
ঝরছে অনুরাগে।

হাটছে কেউ নিজে একা
নিজের দেখা পথে,
কেউ আবার খুঁজছে দোষ
নানান জনের মতে।

কেউ আবার নিচ্ছে দখল
পরের ভিটা বাড়ি,
সব হাড়িয়ে কেউ আবার
দিচ্ছে সাগর পাড়ি।

কারো চোখে,ঘুম আসেনা
জলদ বারি পরে,
কেউ আবার রাত জেগে-
সুরা-সাকীর তরে।

কারো আবার বাড়ছে মেদ,
তেল চর্বি জমে।
কেউ আবার পায়না খাবার
জীবন গেছে থমে,

সুবাস মেখে কেউ আবার
ছড়িয়ে দিচ্ছে বাও,
ঘামে ভিজে চুকে গেছে
কারো সারা গাও।

কেউ আছে পায়না সেবা-
মুমূর্ষুতার কালে,
সর্দি জ্বরে কেউবা আছে
ভি.আই.পি.হসপিটালে।

কেউ আবার দিচ্ছে আশা-
নিরাশাদের মাঝে,
বিকশিতে কেউ আবার
জুটছে সকল কাজে।

স্বাধীনতার জন্য কেউ
দ্রহের আগুন জ্বালে
কেউ আবার নিভায় আগুন
শিতল জল ঢেলে।
  
কেউ আবার সমর শিখে
অমরত্ব ,বীর সৈন্য,
রণে পরে কেউবা আবার
ব্যাকুল বাঁচার জন্য।

ধর্ম বেঁচে কেউবা আবার
পুঁজির-থালা পেতে,
কর্ম ছেঁড়ে যাচ্ছে কেউ
বাবার শিন্নি খেতে।

অনেক শিখে কেউ আবার
মূর্খতার ভার টানে,
স্বল্প শিখেও কেউ আবার
নৈতিকতা,মান আনে।

কেউ আবার গড়ছে মানুষ
নিচ্ছে সেবায় ব্রত,
দায়িত্ব নিয়ে,কেউ আবার
হচ্ছে ভিষণ বিব্রত।

কেউ আবার দিচ্ছে ভাষণ
রাজনীতির খেলে,
উচিত কথা বলতে গিয়ে
যাচ্ছে কেউ জেলে।

কেউ আবার মনিব সেজে
করছে হুকুম-জারি,
খুঁজছে সুযোগ কেউ আবার
করতে ক্ষতি-তারি।

কেউ আবার ঘুড়ছে দেখি,
সাধু ছদ্মবেশে,
জানার জন্যে কেউ আবার
ছুটছে দেশে দেশে।

কারো দেখে হুড়াহুড়ি
উপচে পরা ভিড়
দেখে ফেলবে ভেবে কেউ
নত রাখে শির।

কেউ আবার নবাগত
প্রাচীন বসুন্ধারে,
অকাল বিদায় নিচ্ছে কেউ
না ফেরার ঐ পাড়ে।

কারো আবার শেষ হওয়াটা
শ্রদ্ধেয় ফুল অর্ঘে
কেউ আবার রইছে পরে
হাসপাতালের মর্গে

এমনি করেই কারো হৃদয়
ভাবছে সারাক্ষণ,
ধরার মাঝে কেনো ঘটে
এতো বিবর্তন।