এবার বসন্ত এলে
আমাকে কিনে দিতে হবে
লাল চুড়ি, পায়ের আলতা, কাঁচা ফুলের মালা।
আমি পরবো লাল হলুদের শাড়ি
তুমি না হয় পাঞ্জাবি পড়ো,
হিমু রঙের।
এবার বসন্ত এলে
আমি কিন্তু নাগর দোলায় চড়বোই চড়বো,
মৌনতাদের অনুষ্ঠানে নাচবো,
হাসবো, খেলবো, গাইবো।
তুমি না হয় দর্শক থেকো
আমার সমস্ত পাগলামির।
এবার বসন্ত এলে
আমি তুমি ভুলে যাবো তিন ফিটের দুরত্ব,
কাছে থেকে ছুঁতে না পারার কষ্ট,
সামনা সামনি থেকেও দেখতে না পারার যন্ত্রণা।
এবার বসন্ত এলে
করোনার ভয়ে রাষ্ট্র যতই দূরে থাকতে বলুক,
আমরা কাছে আসবো
যতোটা কাছে থাকে নিশ্বাসে অক্সিজেন।
এবার বসন্ত এলে
আমরা হাতে হাত রাখবো, চোখে চোখ
বাংলা গানে ঢোল বাজাবে তুমি
আমি বাংলায় হাসবো আর গাইবো।
এবার বসন্ত এলে
আমরা ভুলে যাবো আপনজনের মৃত্যু সংবাদ,
ভুলে যাবো মহামারি, বিপদসংকেত, রাষ্ট্রীয় নীতিমালা।
এবার বসন্ত এলে
আমরা ভুলে যাবো ন্যায্য অভিমান,
গিলে খাবো তিন বছরের রাগ,
যেমন করে নবজাতকের মুখ দেখে
মা গিলে খায় প্রসববেদনা।
এবার বসন্ত এলে
আমরা পুনরাবৃত্তি করবো ছোটবেলার
সেই পুতুল পুতুল খেলা,
তোমার আমার বিয়ে,
বর কনের সাজ।
এবার বসন্ত এলে
তুমি একটা বসন্তরঙা কবিতা লেখো,
আমি সে কবিতায় প্রাণ বিলিয়ে দেবো
স্বকণ্ঠে আবৃত্তি করে।
এবার বসন্ত এলে
আমি লজ্জার মাথা খেয়ে বলে দেবো-
ভালোবাসি, ভালোবাসি, ভালোবাসি।
কিন্তু বসন্ত আসে না কেনো
সেও কি অভিমান করে আমাদের মতো।
নাকি সে আজও থাকবে দূরে
নিজের বুকে লুকিয়ে রেখে শীতের ক্ষত।