বড় শয়তানদের রাস্তায় নামতে হয় না,
রাজকীয় আসনে হেলান দিয়ে তাদের
আঙ্গুলের তুড়ি কিংবা চোখের ইশারাই যথেষ্ট।
আর চোখের পলকে নিরীহ শাবকের উপর
ঝাপিয়ে পড়ে উদ্ধত হায়েনারা।
তাদের কারও হাতে চাপাতি, ধারালো অস্ত্র,
কিংবা নিরেট লোহার রড।
বিশ্বজিতের বাঁচার আকুতি তাদের হৃদয় স্পর্শ করে না,
কোনঠাঁসা জানোয়ারের মতোই তাড়া করে
পাশবিক উল্লাসে মেতে উঠে হত্যাযজ্ঞে।
অতঃপর শুরু হয় নোংরামীর খেলা।
শয়তানের মুখের কথায় বাস্তব বদলে যায়,
বিশ্বজিত কখনও হয়ে যায় বিএনপির সাচ্চা কর্মী,
আবার কখনও বা ঘোর আওয়ামীবাদী।
কিন্তু তাতে মৃতদেহে প্রাণ ফিরে আসে না।
চিতায় দাউ দাউ জ্বলে উঠে আগুন,
কান্নার জলও বাষ্প হয়ে উবে যায়।
কিন্তু মড়াখেকোর দলের নাচ থামে না,
নির্লজ্জ উলঙ্গ শয়তানের চোখ
রাস্তায় রাস্তায় খুঁজে ফিরে নতুন শিকার।