উড়াল দেয়ার নেই তো বয়েস
লাগে না আকাশের উচ্চতাও
গজ-ফিতার মাপ, সোম শনির শুভক্ষণ... নয় কিছু।
মওকা এসেছিলো বেশ –
তৈরী পাখাতে বাতাসও ভালোই কাটতো
কিন্তু, কী জানি নিলয় সমীক্ষার নিগূঢ় হিসাব!
আকাশে উড়ার শুভক্ষণ প্রত্যক্ষ করতে
ওরা যখন অধীর আগ্রহে অপেক্ষা করছিলো -
পাখা দুটি আরো কিছু সময় বিশ্রাম চাইলো।
হতাশ হয়নি দর্শক তখনো,
সম্ভাবনার সমূহ কারণ বিবেচনায় রেখে
আশু উড্ডয়নের আশায় আগ্রহের রজ্জুটি প্রসারিতই থাকলো
এক দুই তিন – অপেক্ষার দীর্ঘ প্রহর
"দীর্ঘ দিবস, দীর্ঘ রজনী, দীর্ঘ বরষ মাস"
ঘড়ির কাঁটা, ক্যালেন্ডারের পাতা; এতো শ্লথ!
দর্শকের আগ্রহ ক্রমে ঐকান্তিক কামনায় রূপ পায়
আগ্রহের কষ্ট সংক্ষীপ্তকরণের জন্যে
মাঝেমাঝে ওদের ঈশ্বরের মধ্যস্থতার কথাও মনে আসে।
- - - - - - - - - - - - - - - - - - - - - - - -
★ কবিতাটি আমার সম্পাদিত 'কাব্য কৌমুদী' (পৃষ্ঠা-১১) ২০১৬, সংকলনে প্রকাশিত।