ওঁত পেতে থাকে মৃত্যু আমার সময়ের পিরহানে
হিম-শীতল তন্দ্রাকোলে স্নেহ-মায়ার করি অন্বেষণ
যাপনের নিত্য আসরে ইতিউতি কুড়াই খুচরো সুখ
নিরাপদ বাসরের আড়াল খুঁজি তাপিত ওমে।
অনিত্য যাযাবরী রাত সুগঠিত হয় নি এখনো
কাটে নি বিভীষিকার ভ্রম-কুণ্ডলী বিস্তৃত ছায়ায়
দ্বিধা-কুণ্ঠিত মন মেতেছে স্থাবর বাসনায়
উন্মন নিশার অবসান হোক সময়ের বিভ্রমেই।
জোৎস্নার বাগান চষে নামাই দ্রাক্ষ-জারক
বেলোয়ারি জলসা-ঘরে সাজাই সুখের গজল
হেম-পিপাসায় স্থিত হোক আপন তিয়াস
চাতকের তৃষ্ণা মিটুক না-হয় মরু সাহারার বুকেই।
আরাধ্য সাধনে একবার-ই এসেছিনু প্রিয়া
তোমার হৃদয়ের পাশে, তুমি নেই তাই -
হৃদয়ের শূন্য ভীটায় রেখে যাই রিক্ত হাহাকার
মনটাকে তাই মুঠোয় পুরে যাচ্ছি চলে অনেক দূরে।
বসন্তের সুরেলা মৌ-বনে আর না-ই হ’ল গান
ঝরা পাতার শুনশান গুঞ্জন কান পেতে শো’ন
তোমাদের এই জলসায় যদি না-ই ফিরি আর
তারা হয়ে ফুটে র’ব হেমন্তের শিশির ছায়ায়!
____________________
⭐ কবিতাটি "বাইনারি সুখের পিদিম" (পৃষ্ঠা-৪৫) কাব্যগ্রন্থে প্রকাশিত।