আহা, কী গম্ভীর সময়!
কেন তবু পদস্খলন এতো?
ঝড়ে জলে টলেনি যে তরু কিশলয়
মহীরুহ কেন দলে বৈরী বাতাসে?
ভীরুতায় কাঁপে পাতা, কাঁপে তনু মন।
শীর্ণদেহী মড়া, নদী এক - শুয়েছিল বালুচরায়
হৃদয়ে তার হিজিবিজি প্রেমের আগাছা জঞ্জাল
তা দেখে দূরের পাহাড় হাম্বারবে দড়ি ছিঁড়তে চায়
কুলুকুলু ঝর্নাধারায় ছুটে আসে বেগে
উচ্ছ্বাসে জাগায় প্রেমের মদিরা বারি।
সম্পর্কের যেমন জোয়ার ভাটা থাকে
আছে বিশ্বাসেরও,
পূর্ণিমার আপাত নিঃস্বতায় অবশেষে বুঝে নিই,
সব নদী পায় না চাঁদের ডাক
জাগে না স্রোত চাঁদের শৃঙ্গারেও।
অনুরাগের যে প্রাণের পড়শি
স্রোতধারা তার ফল্গু হয়েই বয়
লাগে না ক্রন্দন কারো, দৈন্য হুতাশনের।
প্রেমের পরশ পেলে শিল্পীর তুলি;
একই জলরঙে কত রঙের ছবিই না যায় আঁকি!