বোধের বোধনে পল-অনুপলে
তেরে কেটে তাক, করে চিন চিন
নেচে গেয়ে ধিন ধি-না ধিন ধিন
কী কথা বলে, কী করে সৃজন?
মনকানা বিবেকের কী নিঠুর আয়োজন!
প্রীতির অভিলাষে পাতা ঝরে আয়ু ক্ষীণ
বিত্তশালী কবিচিত্ত স্বপ্ন আঁকে নিত্যদিন।
জানি না কবে আর জাগবে বোধন
শরান্ধ বিবেকের জলান্ধ চোখ জোড়া
কালের আলোতে হবে মশহুর!
দণ্ড-পলের অভিঘাতে মননে ও বিশ্বাসে
সে বোধের প্রত্যয় ইন্ধনে পুড়ে পুড়ে
সীমাহীন আশাগুলো শুধু জেগে রবে
প্রেষণার দীপ হয়ে শিখাটি জ্বেলে।
ধন্য সে জন - অরূপ সুধার স্বরূপ যে জন
বুঝতে পারে, নিজের মতন ভাবতে পারে,
ভেঙেও আবার গড়তে পারে।
কে বা আসে হৃৎ-প্রতিমার আকর ধরে
ঘুমিয়ে থাকে মনের ঘরটি দখল করে।
কূল ভাসানো নদীর বানে যায় ভেসে যায়
স্বপ্নচারীর ইচ্ছেগুলো গল্পচারীর রথে চড়ে!
বিরহের পথ ধরে ফাগুন যে গেছে সরে
অবিনাশী প্রেম হায়, কাঁদে জারেজার -
কোকিলের কণ্ঠ চিরে
কখন বসন্ত আসবে ফিরে আবার?
চৈতীমেঘে বালির খেলা
ফিরে দেখা দুপুরবেলা প্রবল ধুন্ধুমার
উদাসী বাতাস আড়ে-ঠারে কত কী যে বলে বেশুমার।
ক্ষয়িত রাতের মত খসে যায় বিনুনীর বন্ধন
গতায়তে আজও শুনি কার সুতীব্র ক্রন্দন।
আবেগ যখন বিবেক খায় দৃষ্টি অসীম জগন্নাথ
অপঘাতে মরে যায় সে তো মানুষেরই মন
ত্যাগের নিঃস্বতায় জ্বালা নেই, আছে পরিতৃপ্তি
অনুভবের গরিমায় জাগরিত সুষুপ্তি
দিনহীন নিঃস্বতার, নেই আলো নেই কিছু দীপ্তি।