আমি এক ফাগুনের শীর্ণতোয়া বেভুল নদী
বুকে ধরি পলিচর ক্ষীণ-ধারায় ভাসাই আঁখি
ঝিকিমিকি বালুকণা হরষে মাতে - রবির দাহনে
পোড়ায় আমার তটিনীর খেলাঘর প্রচণ্ড আক্রোশে।
বারিকণা নাই বুকে, তৃষিত হৃদয়খানি করে ছটফট
তবু আমি নিশিঘোরে ভ্রমাবেশে হই না চাতক
কাশবন ঢেউ তোলে দোলায় আমার খিন্ন কেশর
নাগিনীরা রচে ঘর খাগের আড়ে, গড়ে তোলে স্বপ্নবাসর।
পাল তোলা নৌকো দেখি না কোথাও আর
ভাওয়াইয়া মাঝির সুর কুহরে না আসে।
দিবসের সীমানায় দেখি না কূজন কিবা পরিযায়ী ভীড়
রাতের শিশিরে খুঁজি বৃথাই জীবনের রসায়ন।
ঘনপ্রিয়া পথচেয়ে আছে বসে মোহনা পাশে
জেগে থাকি আমি তাই, অনন্তের মেঘের আশায়
শ্রাবণ অঝোরে; যদি কিছু মিলে যায় বারি
ধুকধুক বুকে ধরি সেই ধারা - ফিরে পাই নতুন জীবন।
- - - - - - - - - - - - - - - - - - - - - - -
★ কবিতাটি 'সময়ের বাওকুড়ানি' (পৃষ্ঠা-৮০) কাব্যগ্রন্থে প্রকাশিত।