বর্ষা গেছে কার্তিক শেষে
হচ্ছি শীতে লাচার
ও ময়ূরী এখন কি তোর সময় হল
পেখম মেলে নাচার?
এখানে রোদের উত্তাপ নেই
নেই উন্মাতাল টগবগে লাভার প্রলয় নাচন
উনুনে স্তিমিত আন্দোলন
নু'য়ে পড়েছে ফেনায়িত বুদবুদে।
সকাল বেলার পাখি ডাকে
সান্ধ্য বেহাগ সুরে
কষ্ট ক্লেশে দেয় সে পাড়ি
অচেনা রূপ নগরে।
মায়ার আবহে গড়ায় পড়ন্ত বিকেল;
খরতাপ প্রশমিয়া স্নিগ্ধ শীতল আভা -
কৌণিক দূরত্ব বাড়ে ব্যাপ্ত ছায়া ও কায়ায়
সম্পর্ক লীন, প্রলম্বিত ছায়া দ্রুত অপসৃয়মান...
মাথার ‘পরে দুলছে খড়গ
মুত্যুর পরোয়ানা
মরণদূতে দখল নিলে
জীবন তো আর পাব না।
মননের প্রলিপ্ত বোধে রংতুলির খোঁজ
ঝাপসা চোখে ফেরারী স্বপ্ন উড়ে
অচেনা দেখা, অজানা স্বাদ নিয়েছে দখলে
দেয়াল চিত্র আঁকে কবরের খাঁজে।
সায়াহ্ন কাল, যাপিত জীবনে
থেমে যায় সব কোলাহল
কে খোঁজে - কী ছিল জীবনের রূপ
কি বা পরিমল?
লেজ খসা দিবসের সেইসব খিন্ন ফসিল
অচেনা স্রোতে চলেছে ভেসে
দিকহারা তরণীর দিশাহীন হাল
মিটিমিটি ক্ষয়ে যায় শক্তি অরণীর!
_______________________
🔯 চয়নিকা কাব্য সংকলন (পৃষ্ঠা-১৭) প্রকাশিত